Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যকর্মীরা দিঘায়, ভোগান্তি

স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশও দিঘা ঘুরতে যাওয়ায় বিভিন্ন কাজকর্ম লাটে উঠেছে বলে অভিযোগ। সিমনোড়ের জাকির শেখ নামে এক জন বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য বীমার কার্ড হাতে নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী দিঘায় গিয়েছেন শুনছি।’’

পুরষা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

পুরষা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গলসি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ১০:২০
Share: Save:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপচে পড়ছে রোগীর ভিড়। অথচ যথেষ্ট সংখ্যায় চিকিৎসক নেই। অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও নেই চালক। শনিবার গলসির পুরষা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। রোগীর পরিজনেরা জানান, এর জেরে দিনভর ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় তাঁদের।

এ দিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন বুদবুদের পার্থ হালদার। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। অথচ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও তার চালকের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ পার্থবাবুর পরিজনদের। শেষমেশ তাঁকে ‘মাতৃযানে’ করে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের চালক কোথায়? স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর দাবি, ‘‘কয়েক জন ডাক্তারবাবু, চালক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে বিএমওএইচ মহাপ্রসাদ পাল দিঘা ঘুরতে গিয়েছেন শুক্রবার।’’ অথচ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পুরুষ ও মহিলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ৪৯ জন। এ দিন বহির্বিভাগে ছিলেন প্রায় ৩০ জন রোগী। অথচ, এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গিয়েছে, রোগী দেখছেন, আরিফ ভুঁইয়া নামে এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানের চিকিৎসক নেই। আমি শুধু রাউন্ড দিচ্ছি।’’

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ ভাবে সকাল ১২টা পর্যন্ত দু’জন এবং তার পরে এক জন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী দেখেন। এ দিনও তার অন্যথা হয়নি বলে দাবি মহাপ্রসাদবাবুর। তাঁর দাবি, ‘‘এ দিনও তিন জন জন চিকিৎসক ছিলেন।’’ তবে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে রয়েছে ছ’জন চিকিৎসক। তাঁদের চার জনই দিঘায় গিয়েছেন বলে দাবি এক স্বাস্থ্যকর্মীর। তাঁর দাবি, আরিফকে নিয়ে ‘তিন জন’ চিকিৎসকের হিসেব দিয়েছেন বিএমওএইচ।

স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশও দিঘা ঘুরতে যাওয়ায় বিভিন্ন কাজকর্ম লাটে উঠেছে বলে অভিযোগ। সিমনোড়ের জাকির শেখ নামে এক জন বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য বীমার কার্ড হাতে নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী দিঘায় গিয়েছেন শুনছি।’’

যদিও এ দিন পূর্ব বর্ধমানের সিএমওএইচ প্রণব রায় বলেন, ‘‘কোন দিন ক’জন চিকিৎসক ‘ডিউটি’তে থাকবেন, তার কোনও নিয়ম নেই।’’ অ্যাম্বুল্যান্সের চালক না থাকার বিষয়টিও মানতে চাননি মহাপ্রসাদবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘চালক ছিলেন। হয়তো কোনও কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে ছিলেন না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE