রাজা মগোত্রা। নিজস্ব চিত্র
আর একটি নতুন পালক যুক্ত হল প্যারা-ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রাজা মগোত্রার মুকুটে। শুক্রবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের সিহারশোল গ্রামের বাসিন্দা রাজাবাবুকে ‘খেলসম্মান’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাজা জানান, তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে গত ১ মার্চ রাজ্য ক্রীড়া দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলকাতা থেকে বলেন, ‘‘আমি আনন্দিত। অলিম্পিক্সে যোগ দিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করাই এখন আমার লক্ষ্য।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে রাজাবাবু প্রথমে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। সেখানে সিঙ্গল ও ডাবলসে সোনা পান। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরে ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে বোঞ্জ পান। পরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে সোনা, তাইল্যান্ডে রূপো পদক পান। ফের ২০১৯ সালে সুইৎজারল্যান্ড ও তাইল্যান্ডে রূপোর পদক পান।
রানিগঞ্জের এই খেলোয়াড়ের বয়স ৩৩। তাঁর আত্মীয় প্রবীর পাণ্ডে বলেন, ‘‘রাজার যখন বয়স সাত, তখন ওর শারীরিক গঠনে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। সমবয়সীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়তে পারত না। ক্রিকেট খুব প্রিয় হলেও শারীরিক কারণে বেশিদিন রাজা ক্রিকেট খেলতে পারেনি। প্যারা-ব্যাডমিন্টনে যোগ দিয়ে ও স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা খুব খুশি।’’
রাজাবাবু জানান, ২০১২ সালে রানিগঞ্জ স্পোর্টস অ্যাসেম্বলিতে সর্বস্তরের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষক সন্দীপ মিশ্রের নজরে পড়েন তিনি। সন্দীপবাবু তাঁকে প্যারা-ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তার পরে তিনি আসানসোলে বছর চারেক ধরে সন্দীপবাবুর কাছে প্রশিক্ষণ নেন। বর্তমানে দুর্গাপুরের দেবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
আসানসোল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক গৌতম চৌধুরী, সহ-সম্পাদক তুহিন মুখোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার রাজাকে ‘খেলসম্মান’ দেওয়ায় মহকুমার ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে আমরাও গর্বিত। আমরা চাই ও আরও সাফল্য পাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy