কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা যেখানে খুন হন, তার কয়েক কিলোমিটার দূরে এই হীরাগাছি এলাকা। নিহতের পরিবারও দাবি করেছে, বন্ধুই তন্ময়কে খুন করেছেন। —প্রতীকী চিত্র।
আইটিআই পাশ করা তরুণের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বর্ধমানের শক্তিগড়ের হীরাগাছির তন্ময় প্রামাণিক (১৯) খুনে ধৃতের নাম পিন্টু মুর্মু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে তন্ময়কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও কী কারণে এই খুন, তা এখনই পরিষ্কার নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পড়াশোনার সূত্রে চন্দননগরে থাকতেন তন্ময়। সোমবার শক্তিগড়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ওই দিনই আবার চন্দননগরে ফিরে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বোরোন তন্ময়। বাবা মোটর বাইকে করে ছেলেকে ছাড়তে আসেন রেল স্টেশনে। যদিও স্টেশন থেকে খানিক দূরে মোটর বাইক থেকে নেমে যান তন্ময়। বাবাকে জানান, তাঁর বন্ধু পিন্টুর সঙ্গে রেল স্টেশনে যাবেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পরে রেলগেট লাগায়ো একটি জায়গা থেকে উদ্ধার হয় তন্ময়ের রক্তাক্ত দেহ। তাঁর পাশে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেটি তন্ময়ের বন্ধুর বলে জানা যায়।
সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়-সহ অন্য পুলিশ কর্তা। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের বন্ধু পিন্টু মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন তন্ময়।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এটা খুনের ঘটনা বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।’’
উল্লেখ্য, কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা যেখানে খুন হন, তার কয়েক কিলোমিটার দূরে এই হীরাগাছি এলাকা। নিহতের পরিবারও দাবি করেছে, বন্ধুই তন্ময়কে খুন করেছেন। সোমবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পিন্টুকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিহতের দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
তন্ময়ের বাবা তাপস মালিক বলেন, ‘‘সোমবার ছেলে চন্দননগর থেকে বাড়ি আসে। বাইরে যাবে বলে ছেলের একটা ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার ছিল। তাই দু’জনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলাম। ছেলে ওই দিনই চন্দননগর ফিরে যাবে বলে জানায়। বিকেলে মোটর বাইকে চাপিয়ে ওকে হীরাগাছি রেলগেট পর্যন্ত পৌঁছে দিই। ছেলে বলে ওর বন্ধু পিন্টু আসছে, সে ওকে স্টেশনে নিয়ে যাবে।’’ এর পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা রেলগেটের অদূর মাঠের মধ্যে তন্ময়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
অন্য দিকে, খুনের ঘটনায় ধৃত পিন্টুর মা পুতুল মুর্মু বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিকেলে (সোমবার) বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy