কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধানের মতে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার যে হেতু বাড়েনি, তাই এখনই চিন্তার কিছু নেই। — ফাইল ছবি।
গত কয়েক দিন ধরে দেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এটা অতিমারির নতুন ঢেউ নয়। বরং ওমিক্রনের কারণে যে তৃতীয় ঢেউ এসেছিল দেশে, তারই অংশ। একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানাল কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটির প্রধান জানালেন, পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার প্রয়োজন নেই। যদিও কেন্দ্র নজর রাখছে। সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে সেই নিয়েও চিন্তা করতে বারণ করলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান। তাঁর মতে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার যে হেতু বাড়েনি, তাই এখনই চিন্তার কিছু নেই।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের কোভিড সংক্রান্ত গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এনকে অরোরা বলেন, ‘‘এখন সংক্রমণের মাত্রা কম। ৪ থেকে ৫ দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগীরা। গুরুতর সমস্যার সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া অরোরা মনে করেন, সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ছে না। কোভিডের কারণে মৃত্যুর হারও কম। তাই এখনই ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।
অরোরা বলেন, ‘‘প্রবীণ এবং অন্য অসুখ রয়েছে, এমন লোকজনই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেশি। কোভিডের কারণে কেউ গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন না। সংক্রমণের হার আপাতত বেশ কিছু দিন বেশিই থাকবে, তবে তার জেরে গুরুতর অসুস্থ কেউ হবেন না।’’ কেন বাড়ছে সংক্রমণ, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অরোরা। জানিয়েছেন, ওমিক্রনের উপরূপ এক্সবিবি.১.১৬-এর কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে। গত ১৫ মাসে করোনাভাইরাস ৪৫০ বার মিউটেশন ঘটেছে। সে কারণে টিকার বুস্টার ডোজের উপর জোর দিয়েছেন অরোরা। জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দেশে ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ নাগরিক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। প্রবীণদের শীঘ্র বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কারণ তাঁর মতে, গত তিন বছর ধরে কোভিডে শিশুরা ততটাও সংক্রমিত হননি। সংক্রমিত হলেও উপসর্গ ছিল সামান্য। দেশে ১২ বছরের বেশি বয়সিদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। অরোরা জানিয়েছেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি ৯০ শতাংশ বাচ্চাই টিকা পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy