আসানসোল জেলা হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে গত এক মাস ধরেই রাজ্যের নানা হাসপাতালে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালও তাতে শামিল হয়েছে। তার মধ্যেই এই হাসপাতালে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ চিকিৎসকেরা। তবে তা সত্ত্বেও অগস্টে এই হাসপাতাল থেকে ‘রেফার’ করা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে জুলাই ও অগস্ট মাসে যথাক্রমে ৬,৮৬৪ ও ৭,৪৫৩ জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জুলাইয়ে ২১৪ জন ও অগস্টে ২৪৫ জনকে অন্যত্র ‘রেফার’ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে এই দুই মাসে যথাক্রমে ৬,৭৪৮ ও ৭,৯০৭ জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জুলাইয়ে ১২৩ জন ও অগস্টে ১৬৪ জনকে ‘রেফার’ করা হয়েছিল।
এ বার রেফার করা রোগীর সংখ্যা বাড়ল কেন? জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা হাসপাতালে হৃদরোগ, মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট নেই। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে রক্ত বার করার প্রযুক্তিও নেই। এই ধরনের রোগীদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হয়। এ ছাড়া, বছরখানেক আগে হাসপাতালের বাইরের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাইরের চিকিৎসকদের চিহ্নিত করা রোগীকে ডায়ালিসিস আর দেওয়া হচ্ছে না। তাই ওই ধরনের রোগীদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন মেলার পরে জেলা হাসপাতালে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা যায়। সে কারণেও রেফারের সংখ্যা বাড়ছে।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সমরেন্দ্রকুমার বসু জানান, জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল একই চত্বরে পাশাপাশি রয়েছে। অথচ, হৃদরোগ, মূত্ররোগ এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট নেই। গুরুতর দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। অথচ, এখানে উপযুক্ত প্রযুক্তি নেই। তাঁর দাবি, ‘‘এতেই বোঝা যায়, কাগজে-কলমে ছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামোর
উন্নয়ন হয়নি।’’
সিএমওএইচ শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকেরা প্রতিবাদে শামিল হলেও, কাজ বন্ধ করেননি। তাই চিকিৎসা পরিষেবা একই রকম স্বাভাবিক আছে। তবে রেফারের বিষয়টি কেন কমছে না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy