উধাও ‘দূরত্ব-বিধি’। অণ্ডালের খান্দরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
করোনা-টিকা নেওয়ার জন্য নাম লেখাতে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গেল অণ্ডালের খান্দরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ‘উধাও’ হয়ে যায় দূরত্ব-বিধি। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।। বুধবারের ঘটনা।। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকা নেওয়ায় জন্য নাম নথিভুক্ত করতে ভোর ৩টে থেকে এসে লাইন দেওয়া শুরু করেন মানুষজন। বেলা ১১টা নাগাদ দেখা যায়, প্রায় হাজার জন লাইনে দাঁড়িয়ে। মানুষজন কার্যত একে অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েছেন। গোলমাল শুরুর খবর পেয়ে উখড়া আউটপোস্ট থেকে দ্রুত পুলিশ পৌঁছয়। উখড়া নতুন হাটতলার বাসিন্দা সত্যম লায়েক এ দিন লাইন থেকে বেরিয়ে আসার পরে বলেন, “কোনও মতে বেঁচে ফিরলাম। নাম লেখালাম। কবে টিকা পাব জানা নেই!” স্থানীয় বাসিন্দা রানি বাউরি, রাহুল নুনিয়া, অশোক শর্মারা জানান, কয়েকদিন আগে টিকা নিতে ইচ্ছুকদের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছিল।
তবে এ দিন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে মনে করছেন, ওই কারণেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এ দিন। রানিদেবী বলেন, “এক সময় মনে হচ্ছিল, লাইন ছেড়ে বেরোতে পারব না। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রাণ বাঁচল।” সকলের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, লাইন দেওয়ার সময়ে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। কারণ, বয়স্কেরাও এসেছিলেন
লাইন দিতে।
রাজ্য সরকারের কোভিড মনিটরিং কমিটির পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কো-অর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু জানান, টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ আছে, তা এ দিন প্রমাণ হয়েছে। তবে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরও উচিত লম্বা লাইনে যাতে বিধি উপক্ষিত না হয়, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ পরিতোষ সোরেন জানান, সাত দিন আগে তাঁরা নাম নথিভুক্ত করার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ দিন ২৬৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়েও নজর দেওয়া হবে।”
এ দিকে, এ দিন কাঁকসার রক্ষিতপুর গ্রামের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। অভিযোগ, অন্য গ্রামের মানুষ টিকা পেলেও, তাঁদের গ্রামের বহু বাসিন্দা এখনও তা পাননি। গোলমালের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন মলানদিঘি পঞ্চায়েতের প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায়। যায় পুলিশও। পীযূষবাবুকে ঘিরেও মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, বাইরে কোথাও গিয়েও টিকা নেওয়ার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। এই কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হলে গ্রামের মানুষের সুবিধা হবে। পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষবাবু জানান, দ্রুত এই সমস্যা মেটানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy