বর্ধমানের তাঁতবাজার। —নিজস্ব চিত্র।
পুজোর বাকি মাত্র আর কয়েক’টা দিন। কেনাকাটার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। ঠিক এই সময়ে অব্যবস্থার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের সদর শহরের একমাত্র বেসরকারি তাঁতহাট বন্ধ করে দিল পুরসভা। শুক্রবার এ নিয়ে জোর শোরগোল ব্যবসায়িক মহলে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা সমস্ত প্রকার নিয়মে মেনেই চলেছেন। তা সত্ত্বেও হাট বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা। অন্য দিকে, ওই হাটে যথেচ্ছ ভিড় বাড়ানোর অভিযোগ করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের সদর শহরে তাঁতহাটে অভিযান চালায় পুরসভা। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পুরপ্রধান পরেশ সরকার স্বয়ং। হাট বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখানে একটা দম বন্ধ করা পরিস্থিতি চলছে। হাজার হাজার লোক ঢুকিয়ে কেনাকাটা চলছে। যে কোনও সময় ঘোরতর বিপদ ঘটতে পারে।’’ এখানেই শেষ নয়। হাট কর্তৃপক্ষের কাছে পুরসভার ৩২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার সেই সব নথিপত্র নিয়ে ব্যবসায়ীদের পুরসভা ভবনে গিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে পাকাপাকি ভাবে ওই হাট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেপাল কংসবণিক বলেন, ‘‘পুরসভা হঠাৎ করে কুড়ি গুণ বেশি টাকা চাইছেছে। পুজোর আগে এই সিদ্ধান্তে আমাদের ব্যবসার চরম ক্ষতি হবে। সাধারণ মানুষ ন্যায্য দামে ভাল জিনিস কিনতে পারবেন না।’’
বছর দশেক আগে পারবীরহাটার জমজমাট এলাকায় এই তাঁতহাট চালু হয়। সমুদ্রগড়-সহ জেলার নানা এলাকার বাহারি তাঁতবস্ত্র এখানে এনে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের চেয়ে এখানে দাম অনেকটাই কম হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের এই বাজার। পুজোয় ভিড় বাড়ে আরও। ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেপাল জানান, সোমবার কাগজপত্র নিয়ে তাঁরা পুরসভায় যাবেন। আশা করছেন, সব ভালয় ভালয় মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy