—প্রতীকী চিত্র।
আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জানিয়ে চিঠি পেলেন কালনা মহকুমার আরও অনেকে। বুধবার সব থেকে বেশি চিঠি পৌঁছনোর কথা জানা গিয়েছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকে। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুপুর পর্যন্ত দেড়শোর বেশি মানুষ আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাড়ায় পাড়ায় আন্দোলনে নামারও ডাক দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তারা ওই ব্লকে চার জনের চিঠি প্রাপকের কথা জানতে পারেন। বুধবার সকাল হতেই বাড়তে থাকে সেই সংখ্যা।
চিঠি পেয়েছেন ভাতারের মাহাতা পঞ্চায়েতের রায় রামচন্দ্রপুরের এক কৃষকও। তাঁর দাবি, দিন চারেক আগে চিঠি এসেছে। আগে বাবার কাজের সূত্রে ওড়িশায় থাকতেন তারা। তবে ভাতারে প্রায় ১৮ বছর ধরে বাস করছেন। চিঠি পেয়েছেন ওই এলাকার এক বৃদ্ধও।
পূর্বস্থলীর দামপালচর, চণ্ডীপুর, তেলিনপাড়া, শ্রীরামপুর, মেড়তলা, সিমলা, জামালপুর, ধরমপুর, ছাতনি, সরানপুরের মতো বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। মাঠেরপাড়া এলাকায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য চিঠি পেয়েছেন। বিধায়ক জানান, দামপালচর এলাকায় প্রায় ৫০ জনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠি যাঁদের কাছে পৌঁছেছে তাঁদের একটা বড় অংশ ১৫ থেকে ১৮ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে বসবাস শুরু করেন। তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষের মধ্যে চিন্তা বাড়ছে। প্রথমে লজ্জায় অথবা ভয়ে চিঠির কথা জানাতে না চাইলেও এখন গোছা গোছা আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠির ফটোকপি জমা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
জামালপুরের স্বপ্না বাউড়ি, চণ্ডীপুরের তারক বাগচি, শ্রীরামপুরের অভিজিৎ মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের বই, গ্যাসের সংযোগ অনেক কিছুই আধার নম্বর দিয়ে করা হয়েছে। ওই নম্বর নিষ্ক্রিয় হল চরম সমস্যায় পড়তে হবে।’’
বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই ব্লক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার এক মাত্র ব্লক এটি যেখানে বিজেপি তিনটি পঞ্চায়েতে বোর্ড দখল করে। বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আধার কার্ড কেন নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রে সরকার জনবিরোধী কোনও পদক্ষেপ নেবে না। তৃণমূল ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইলেও সফল হবে না।’’
পূর্বস্থলী ১ ব্লকেও আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করার চিঠির সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে ১৪ হয়েছে। কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে এক জন, কালনা ২ ব্লকের তিন জন, কালনা ১ ব্লকে একজন ওই চিঠি পেয়েছেন। বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।’’ মহকুমাশাসক (কালনা) শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘‘বিডিওরা তালিকা তৈরি করছেন। যাঁরা এমন চিঠি পেয়েছেন তাঁরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে জন্য প্রশাসনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা চিঠি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার দু’টি চিঠি দু’জনকে দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাস জামালপুরের জৌগ্রাম ও আবুঝহাটি ১ পঞ্চায়েতের গিয়ে শুভেচ্ছাপত্র দেন কয়েক জনকে। কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে বলেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ ঠাকুরের পুজো চলাকালীন চিঠি পৌঁছয় গ্রামে। আবির খেলা চলছিল তখন। চিঠি পাওয়ার পরে আবির খেলায় মাতেন বাসিন্দারা।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিধান রায় বলেন, ‘‘গোটা জেলায় ১০২ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy