Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Migartory Birds at Chariganga

অবশেষে ছাড়িগঙ্গায় বসল পরিযায়ী পাখির মেলা 

অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্প্রতি জলাশয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি উড়ে আসতে দেখা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা।

ছাড়িগঙ্গায় উপরে উড়ছে পাখির দল।

ছাড়িগঙ্গায় উপরে উড়ছে পাখির দল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০০
Share: Save:

এক মাস আগেও কালনার ছাড়িগঙ্গা জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি খুব বেশি দেখা যায়নি। বন দফতর এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের পরিদর্শনেও ধরা পড়ে সে ছবি। তবে সম্প্রতি ছবি বদলেছে। এখন কয়েক হাজার পাখির দেখা মিলছে জলাশয়ে।

গত বছর বন দফতরের পক্ষীগণনায় দেখা যায়, ছাড়িগঙ্গায় নানা প্রজাতির হাজার ছয়েকেরও বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছে। এ বার শীতের আগে ছাড়িগঙ্গা ভরে ছিল ঘন কচুরিপানায়। সে কারণে পরিযায়ী পাখির মেলা দেখা যায়নি। হতাশ হতে হয় পক্ষীপ্রেমী এবং আলোকচিত্রীদের। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে বন দফতর জানায়, প্রচুর কচুরিপানা থাকায় পরিযায়ী পাখিরা মনের মতো পরিবেশ পাচ্ছে না। এ ছাড়াও, ছাড়িগঙ্গার দু’পাড়ে কোলাহল ও চাষাবাদ হয়। সে কারণে পাখিরা জলাশয়কে নিরাপদ মনে করছে না। এ বার আদৌ পরিযায়ী পাখিরা ছাড়িগঙ্গায় আসবে কিনা, তা নিয়ে বন দফতরের কর্তা এবং পক্ষীপ্রেমীদের মধ্যে সন্দেহ ছিল।

অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্প্রতি জলাশয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি উড়ে আসতে দেখা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। কালনার মহকুমাশাসকের বাংলোর উল্টো দিকে গেলেই দেখা যাবে, জলাশয়ের বেশ কিছুটা অংশ কচুরিপানামুক্ত করা হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার পরিযায়ী পাখি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কল্পনা ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘এ বার পাখিরা না আসায় বেশ হতাশ হয়েছিলাম। দিন পাঁচেক আগে কয়েক হাজার পাখি এসেছে। তবে এখনও ছাড়িগঙ্গার বেশির ভাগ অংশই কচুরিপানায় ভরে রয়েছে। তাই অনেক পাখি জলাশয়ে চরে বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে না। প্রশাসনের উচিত জলাশয়ের আরও কিছু অংশ কচুরিপানামুক্ত করা। তাতে ওরা খেলে বেড়ানোর সুযোগ পাবে।’’

কালনার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েলের বক্তব্য, ‘‘আমি গিয়ে দেখেছি, ছাড়িগঙ্গায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে জলাশয়ের বেশ কিছু অংশ কচুরিপানামুক্ত করার চেষ্টা করছি।’’ বন দফতর জানিয়েছে, শুধু ছাড়িগঙ্গা নয়, পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়েও। দফতরের কাটোয়ার রেঞ্জ আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘আবহাওয়ার পরিবর্কতন হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ভাল শীত পড়ছে। ফেব্রুয়ারিতে পক্ষীগণনা হবে। কত পাখি ছাড়িগঙ্গায় এসেছে, তখনই বোঝা যাবে।’’ তিনি জানান নলিয়াপুর, নয়াচর সংলগ্ন নদীর চরেও পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে। ওই সব জায়গায় মানুষের আনাগোনা কম। তাই কোলাহলমুক্ত পরিবেশে নিজেদের নিরাপদ মনে করছে পাখিরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna migratory birds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy