অভয় বার্নোয়াল। —নিজস্ব চিত্র।
সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই অভয় বার্নওয়াল ছুটেছিলেন অযোধ্যায়, করসেবক হিসাবে। গুলি, ধস্তাধস্তিতে গুরুতর জখমও হয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালে বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীন থেকে ফিরেছিলেন আসানসোলে। সে দিনের কিশোর বর্তমানে বছর ৫১-র প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। ফেলে আসা সেই সময়ের সূত্র ধরেই অভয়কে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আমন্ত্রণ পেয়ে আপ্লুত অভয়।
মঙ্গলবার আসানসোলের হাটন রোডে বাড়িতে বসে অভয় জানান, তিনি ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) এক জন প্রচারক ও সদস্য। সংগঠনের আদর্শই তাঁকে অযোধ্যায় করসেবক হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিল। অভয় বলেন, “১৯৯০-এর ২১ অক্টোবর আসানসোলের আরও ৮৫ জন সঙ্ঘ সদস্যের সঙ্গে অযোধ্যায় গিয়েছিলাম। নানা বাধা অতিক্রম করে মন্দিরে পৌঁছেছিলাম। ৩৩ বছর পরে, তারই পুরস্কার পেলাম। আমি গর্বিত।” সেই সঙ্গেই ফিরে যান স্মৃতিতে। বারাণসীতে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো, অযোধ্যায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গুলিতে জখম হওয়া— নানা ঘটনার সাক্ষী অভয়। তিনি বলেন, “মাটিতে পড়ে গেলাম। আর জ্ঞান ছিল না। তিন দিন পরে চোখ খুলে দেখি, বাবা দাঁড়িয়ে।” দশ দিন ফৈজাবাদের হাসপাতালে কাটানো ছেলেকে আসানসোলে ফিরিয়ে আনেন বাবা শিউশঙ্করপ্রসাদ।
ওই ঘটনার পরে অভয় শুরু করেন বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ব্যবসা। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী সুষমা, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। সুষমা বলেন, “আমরা খুব খুশি। আমরাও যদি উপস্থিত থাকতে পারতাম, তা হলে আরও ভাল লাগত।” আর অভয় জানাচ্ছেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি শিয়ালদহ-জম্মুতাওয়াই এক্সপ্রেসে চড়ে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy