Advertisement
E-Paper

কাজ দেওয়ার নামে ‘অপহরণ, অত্যাচার’ 

পুলিশ জানায়, মেমারিরই একটি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী স্কুল ছাত্রী। সাজিদ ও শামা ওই কিশোরীর  আত্মীয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০০:১৩
Share
Save

ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মেমারির এক কিশোরীকে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে নিয়ে গিয়ে তাকে নির্যাতন এবং যৌন ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সাজিদ এবং ঠাকুরমণি মুর্মু ওরফে শামা পারভীন। ধৃতদের উত্তরপ্রদেশের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ওই কিশোরীকেও।

পুলিশ জানায়, মেমারিরই একটি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী স্কুল ছাত্রী। সাজিদ ও শামা ওই কিশোরীর আত্মীয়। ওই কিশোরীর বাবা, মা পেশায় দিনমজুর। তাঁরা পুলিশকে জানান, মাস ছয়েক আগে মেমারিতে এসে ওই দম্পতি মোরাদাবাদে কিশোরীকে ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে। ‘প্রতিশ্রুতি’ ছিল, সোনার গয়না গড়িয়ে দেওয়ারও। এর পরে গত ৪ এপ্রিল সকালে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে একাই বার হয় ওই কিশোরী। কিশোরীর বাবা-মা জানতে পারেন, মেয়েকে মোরাদাবাদে আটকে রাখা হয়েছে। এর পরে গত ৩ জুলাই কিশোরীর মা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে অপহরণ ও আটকে রাখার মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মেমারি থানার পুলিশ জানায়, মোরাদাবাদের আশিয়ানার একটি হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় বাড়ি ধৃতদের। সেখানেই কিশোরীকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে মেমারি থানার পুলিশ। মোরাদাবাদের স্বাস্থ্য দফতরে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী অফিসার বিনোদ মাহাত। মোরাদাবাদের সিজেএম আদালতে ধৃত ও উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে তোলা হয়। সেখানের বিচারক ধৃতদের তিন দিনের ট্রানজ়িট রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মোরাদাবাদ থেকে রবিবার ধৃত দু’জন ও ওই কিশোরীকে নিয়ে মেমারিতে ফেরে পুলিশ।

ধৃতদের সোমবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মণিকা চট্টোপাধ্যায় (সাহা)। কিশোরীর গোপন জবানবন্দি এ দিনই নথিভুক্ত করায় পুলিশ। কিশোরীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

বর্ধমান আদালত চত্বরে কিশোরী সংবাদমাধ্যমের কাছে জানায়, তাকে মুরাদাবাদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে কাজ করানো হয়। অভিযোগ, তাকে ঠিক মতো খেতে দেওয়া হতো না। আরও অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে সাজিদ এবং তাকে যৌন ব্যবসায় নামানো হয়। কিশোরীর আরও অভিযোগ, ধৃত দম্পতির কথা মতো কাজ না করলে রড দিয়ে তাকে মারধর, ছ্যাঁকা দেওয়া হত। ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুনের হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। কিশোরীর দাবি, ‘‘আমি চাই ওদের কঠোর শাস্তি হোক।’’

Rape Sex racket Crime

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}