কাটোয়ায় ব্যালট বাক্স থেকে জল বার করা হয়। নিজস্ব চিত্র
ভোটের দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পার অভিযোগ তুলে কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের কয়েকটি বুথে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দিয়েছিল বিজেপি। পানুহাটের রাজমহিষীদেবী উচ্চ বিদ্যালয় ও মণ্ডলহাট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জল ঢালা, ফেলার ছবি ‘ভাইরাল’ হয়। ওই অবস্থায় ব্যালট পেপারগুলি দু’দিন বাক্সবন্দি ছিল। তারপরেও ওই ব্যালটে গণনা কী ভাবে হল, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেনারাজ তৃণমূল। ব্লক প্রশাসনও মন্তব্য করতে চায়নি।
কাটোয়া ১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট ও মণ্ডলহাটে বিজেপির জোর রয়েছে। ভোটে এর প্রভাব পড়বে, দাবি করে বিজেপি। ভোটের দিন ওই দুই স্কুলের বুথে লম্বা লাইন পড়ে। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ১৫, ১৬, ১৭, ১৯ ও ২২ নম্বর বুথে দফায় দফায় অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পার অভিযোগ তুলে বিজেপি ব্যালট বাক্সগুলিতে জল ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে কয়েক জনকে বাক্স উল্টে জল বার করতে দেখা যায়। কয়েক বার এমন চলে। কাটোয়া ১ ব্লকের কারুলিয়া গ্রামের ২৬৪ নম্বর বুথেও পরিকল্পিত ভাবে ব্যালটে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পূর্ব বর্ধমান জেলা (কাটোয়া) বিজেপির সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ওই বুথে তৃণমূল প্রার্থী ঝুমা মাঝি ৪১২টি ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী পিউ ঘোষ গড়াই পেয়েছেন ২১৬টি ভোট। বিজেপি সভাপতির দাবি, ‘‘আমার বুথে অতীতে কোনও ভোটেই তৃণমূল জেতেনি। আমাদের এজেন্টদের বার করে দেওয়া হয়েছিল। পরিচ্ছন্ন ভাবে ব্যালট দেখিয়ে গণনার পরে যদি তৃণমূল জয় দেখাতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের ওই বুথগুলির জলে ভেজা ব্যালট পেপার কী করে গণনা হল, তা নিয়ে কমিশন ও আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে প্রশাসনকে পঙ্গু করে ফেলেছে তৃণমূল।’’
বিজেপি জেলা সভাপতির আরও অভিযোগ, কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের মণ্ডলহাট, একাইহাট লাগোয়া বুথগুলিতে তৃণমূলের এক শিক্ষক নেতার নেতৃত্বে বাইক বাহিনী ঘুরেফিরে ছাপ্পা মেরেছে। সে সংক্রান্ত ভিডিয়োও রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘স্বচ্ছ ভাবে ভোট হওয়ায় মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। কমিশনের নিয়ম মেনেই গণনা হয়েছে। বিজেপি-সহ বিরোধীরা এই সত্যটা মেনে নিতে না পেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’ কাটোয়া ১ ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক শুধু জানান, বিষয়টি নিয়ে যা বলার উপর মহল বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy