— প্রতীকী চিত্র।
শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানা এলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম পলাশ দাস। অভিযোগ, স্ত্রীর গলায় ইলেকট্রিকের তার পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করেছেন পলাশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাড়ি মাধবডিহি থানার নেওর গ্রামে। একই গ্রামের বাসিন্দা রিম্পা দাসের সঙ্গে বছর দশেক পলাশের বিয়ে হয়। বিয়ে করেছিলেন প্রেম করে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্ক মোটেই ভাল ছল না যুগলের। বিয়ের মাস ছয়েকের মধ্যে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করতেন রিম্পা। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিম্পার গায়ে হাত তুলতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বেলা ৩টে নাগাদ পলাশের বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে রিম্পার বাপের বাড়ির লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। তখনই গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় রিম্পাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। তড়িঘড়ি তাঁকে মাধবডিহি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু, চিকিৎসকেরা ওই বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পরেই মৃতার মা শিখা দাস থানায় জামাই এবং মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মেয়েকে মারধর করা হয় প্রথমে। তার পর তার পেঁচিয়ে এবং শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছে।’’
অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সোমবার সকালে মাধবডিহি থানার শাকনাড়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে সোমবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy