Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

শিল্পের দাবিতে ‘লং মার্চ’ পৌঁছল দুর্গাপুরে

মেনগেট থেকে ভিড়িঙ্গি হয়ে প্রান্তিকা চলে যায় পদযাত্রাটি। এর আগে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর, কাজোড়া মোড় ও অণ্ডাল মোড়েও লং মার্চে যোগদানকারীদের সংবর্ধনা জানানো হয়।

চিত্তরঞ্জন থেকে  এই পদযাত্রা শুরু হয় শনিবার। নিজস্ব চিত্র

চিত্তরঞ্জন থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয় শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:১৯
Share: Save:

গত শনিবার চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে ‘লং মার্চ’ শুরু হয়েছে। সালানপুরে পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন পুরুলিয়ার নেতা, কর্মীরাও। রানিগঞ্জ থেকে পদযাত্রা অণ্ডাল, কাজোড়া হয়ে সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকায় পৌঁছয়। পদযাত্রায় যোগ দেওয়া নেতা, কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ডিপিএল ও সগড়ভাঙার বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানার শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে। শ্রমিকদের বাড়িতে তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।

মেন গেট এলাকায় লং মার্চে যোগ দেওয়া নেতা, কর্মীদের সংবর্ধনা জানায় সিটু ও আইএনটিইউসি। কমলালেবু, চকোলেট দেওয়া হয়। সিটুর তরফে জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী, জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী, সন্তোষ দেবরায়, রথীন রায়, বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী প্রমুখ এবং আইএনটিইউসি-র তরফে বিকাশ ঘটক, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস-সহ অন্যেরা ছিলেন। সামান্য বিরতির পরে ফের শুরু হয় পদযাত্রা। মেনগেট থেকে ভিড়িঙ্গি হয়ে প্রান্তিকা চলে যায় পদযাত্রাটি। এর আগে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর, কাজোড়া মোড় ও অণ্ডাল মোড়েও লং মার্চে যোগদানকারীদের সংবর্ধনা জানানো হয়।

আজ, মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর স্টেশনে এসে পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা বাঁকুড়ার প্রতিনিধিদের। পরে দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া সিটু অফিস থেকে গ্যামন ব্রিজ হয়ে ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবন, রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থার এলপিজি বটলিং সেন্টার হয়ে লেনিন সরণি দিয়ে এমএএমসি, বিওজিএল, বিধাননগর হয়ে পদযাত্রা যাবে মুচিপাড়ায়। এই পদযাত্রায় ডিপিএল থেকে সংস্থার আইএনটিইউসি কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ওই সংস্থায় সংগঠনের নেতা উমাপদ দাস। পরে বাঁশকোপা শিল্পতালুক হয়ে পদযাত্রা সন্ধ্যায় পৌঁছবে পানাগড়ে। রাত্রিবাস সেখানেই। বীরভূম জেলার প্রতিনিধিরাও যোগ দেবেন পানাগড়ে। বুধবার সকালে পদযাত্রা পৌঁছবে বুদবুদে। তার পরে তা গলসি হয়ে চলে যাবে বর্ধমান।

চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা, এই পথের পুরোটাই হাঁটবেন দু’শো জন। সিটু সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিক, ঠিকাশ্রমিক, উচ্ছেদ হওয়া শ্রমিক, ছাত্র, যুব-সহ নানা পেশার প্রতিনিধি রয়েছেন এই দলটিতে।

সিটু সূত্রে জানা গিয়েছে, পদযাত্রার মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বাঁচানো’ ও ‘নতুন শিল্প’ গড়ার দাবি জানানো হচ্ছেই। পাশাপাশি, গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কাজ বাঁচানো, ছাঁটাই রোধ, নতুন কাজের মতো দাবিগুলিও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিটু নেতা জানান, শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের কথা বলে বা নতুন শিল্প গড়ার দাবি দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে টানা যাচ্ছে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই ‘লং মার্চ’-এর স্লোগানে রুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কাজ বাঁচিয়ে রাখার মতো বিষয়গুলি। তরুণ প্রজন্মের কাছে বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজের নিরাপত্তার দাবি সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Long March CITU Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE