ভাঙা হচ্ছে স্টেডিয়াম পাড়ার ক্লাবঘর। নিজস্ব চিত্র
‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙল কাটোয়া পুরসভা। সোমবার কাটোয়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডে স্টেডিয়াম পাড়ার একটি ক্লাবঘর ভাঙা হয়। ক্লাব-কর্তাদের যদিও দাবি, গত পুরবোর্ডের অনুমতি নিয়েই ঘর তৈরি করেছিলেন তাঁরা। এলাকার দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের পড়ানো হয় ওই ঘরে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, শহর জুড়ে একাধিক পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ চলছে। সে দিকে নজর না দিয়ে ক্লাবঘর ভেঙে ভাল কাজ বন্ধ করে দিল পুরসভা।
কাটোয়ার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, সরকারি জায়গায় অস্থায়ী টিনের চালাঘর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ওই ক্লাবকে। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়ছে। তিনি বলেন, ‘‘বিগত পুরবোর্ড ওই নির্মাণের অনুমতি কী করে দিয়েছিল জানি না। একাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছে। সমস্ত বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সাল নাগাদ ওই জায়গায় ব্যায়াম প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। পাড়ার অনেককেই নিয়মিত দেখা যেত সেখানে। তার বছর তিনেক পরে এলাকার শিশুদের পড়ানো শুরু করেন ওই ক্লাবের সদস্যেরা। জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ ক্লাব সদস্যই প্রাথমিক ও হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁদের দাবি, পুরসভার কাছে আবেদন করার পরে তৎকালীন পুরপ্রধান অমর রামের অনুমতি পেয়ে ২০১৫ সালে ২৬০ বর্গফুটের উপরে ক্লাবঘর গড়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘পুকুর বুজিয়ে হামেশাই বেআইনি নির্মাণ দেখা যাচ্ছে শহরে। পুরসভা সে দিকে পদক্ষেপ না করে যে ক্লাবঘরে এলাকায় দুঃস্থ ছেলেমেয়েরা পড়ার সুযোগ পেত, তা ভাঙছে।’’
ক্লাবের সম্পাদক মিন্টু চৌধুরীর দাবি, ‘‘নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে বছরভর জড়িয়ে থাকি আমরা। পুরসভার অনুমতিতেই ঘর তৈরি হয়েছিল। এখন পুরসভা ভেঙে দিতে বলছে।’’ প্রাক্তন পুরপ্রধান অমর রামের দাবি, ‘‘ওখানে আগে সন্ধ্যা হলেই অসামাজিক কাজের রমরমা চলত। ওই শিক্ষকদের অনুরোধে একটা ভাল কাজ হবে বলে ওই ক্লাব তৈরির অনুমতি দিই। ওটা অবৈধ হলে এত দিন কেন ভাঙল না পুরসভা?’’
যদিও বর্তমানে পুরসভার দাবি, ‘জেএনএনইউআরএম’ প্রকল্পে রিকশাচালকদের বিশ্রামকক্ষ ছিল ওই জমিতে। দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের পড়ানোর মতো ভাল কাজের জন্য ওই ক্লাবকে তা তিন মাসের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy