Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Kalna sub-Division

পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা

শাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে থাকা এলাকার আশপাশে বেআইনি নির্মাণ করেন অনেকেই।

কালনায় ১০৮ শিবমন্দির চত্বরে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র

কালনায় ১০৮ শিবমন্দির চত্বরে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৬:২৯
Share: Save:

পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আধিকারিকদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করল কালনা মহকুমা প্রশাসন। শহরের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি নিয়ে নানা সমস্যার কথা আলোচনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিন বৈঠকে ছিলেন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতা শাখার সুপারিন্টেন্ডন্ট শুভ মজুমদার, কালনার মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি, পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগ, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে কালনার ১০৮ শিবমন্দির ও রাজবাড়ি কমপ্লেক্সে থাকা মন্দিরগুলির চত্বর আগছায় ভরে যাওয়ায় পর্যটকেরা হতাশ হচ্ছেন, এই বিষয়টি বৈঠকে উঠে আসে। অনেকে অভিযোগ করেন, দুপুরে বিভিন্ন মন্দিরে পুরোহিতেরা তালা ঝুলিয়ে দেন।

দেবপ্রসাদবাবুর বক্তব্য, ‘‘মন্দিরগুলি সব সময় খোলা রাখা উচিত। কারণ, বাইরে থেকে যে সমস্ত পর্যটকেরা আসছেন, তাঁরা জানেন না পুরোহিতেরা কখন মন্দির খোলেন বা বন্ধ করেন। ফলে, অনেকেই মন্দিরে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান। পুরসভাকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হলে দ্রুত সমাধান করা যাবে।’’ বৈঠকে শুভবাবু জানান, মন্দির চত্বরে আগাছার বিষয়টি দেখে দফতরের উদ্যানপালন বিভাগ। তাদের কার্যালয় দিল্লিতে। ওই বিভাগের কর্মীদের তিনি কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না। তবে কালনার মন্দিরগুলির পরিস্থিতি ছবি-সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে থাকা এলাকার আশপাশে বেআইনি নির্মাণ করেন অনেকেই। কিন্তু সে ব্যাপারে বিভাগের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। সে কারণে এমন নির্মাণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ প্রসঙ্গে শুভবাবু দাবি করেন, প্রথমে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নোটিস পাঠান। তাতে কাজ না হলে, থানায় লিখিত অভিযোগ ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। এর বেশি তাঁদের কিছু করার থাকে না। তিনি অভিযোগ করেন, কালনার ১০৮ শিবমন্দির ও রাজবাড়ি চত্বরে রাস্তার পাশে গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু দোকান। এ ব্যাপারে স্থানীয় মানুষজনের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা।

এ ছাড়াও, বৈঠকে উঠে আসে মন্দির চত্বরে বেশিরভাগ আলো না জ্বলা, রাজবাড়িতে একটি গেট বন্ধ রাখা, নানা সময়ে ফুল-বেলপাতা মন্দির চত্বরে পড়ে থাকার কারণে দূষণ ছড়ানোর মতো বিভিন্ন বিষয়ও। বৈঠকে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে দাবি করেন পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগ। তবে মহকুমাশাসক জানান, সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna sub-Division Archaeology
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE