Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিসিটিভি দেখে খোঁজ অভিযুক্তের 

কাঠিগঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সমরবাবুর দাবি, রবিবার ভোরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পান, দলীয় কার্যালয়ের কাছে রাখা তাঁর গাড়িতে আগুন লেগেছে।

পোড়া গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

পোড়া গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৬
Share: Save:

কাউন্সিলরের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় অভিযুক্তকে চিনিয়ে দিল পুরসভার সিসিটিভি। পরে কালনার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তৃণমূল কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার অভিযোগ করে জানান, ওই ওয়ার্ডের এক বিজেপি কর্মী গোপাল হালদার ওরফে বুড়োর মদতে গাড়িতে আগুন লাগিয়েছিলেন স্থানীয় যুবক বিশ্বজিৎ কর্মকার। জেরা করে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

কাঠিগঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সমরবাবুর দাবি, রবিবার ভোরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পান, দলীয় কার্যালয়ের কাছে রাখা তাঁর গাড়িতে আগুন লেগেছে। ষড়যন্ত্রের কথা মুখে বললেও ওই দিন কারও নামে অভিযোগ করেননি তিনি। সোমবার ওই কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে শুরু করে। তাঁদের দাবি, বেশ কয়েকটি সিসিটিভিতে হলুদ কাপড়ে মাথা এবং মুখ মুড়ে এক যুবককে চলাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার স্থানীয় বিশ্বজিৎকে সন্দেহ করে পুরসভায় নিয়ে যান ওই কাউন্সিলর। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের দাবি, প্রথমে মানতে চায়নি ওই যুবক। পরে সিসিটিভিতে দেখা পোশাকের বিবরণ দিয়ে বাড়িতে খোঁজ নেওয়ার কথা জানালে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে নেয় সে। সমরজিৎবাবুর দাবি, ওই যুবক জানিয়েছে কয়েকদিন আগে গোপাল তাকে গাড়িতে আগুন লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিল। বিনিময়ে দলে ভালো পদ দেওয়ারও আশ্বাস দেয়। এর পরেই শনিবার গভীর রাতে পাড়ার একটি মিষ্টির দোকানের কাছ থেকে একটি হলুদ পতাকা খুলে মাথা এবং মুখ মুড়িয়ে গাড়িটির কাছে যায় সে। পরে পিছনের কাচ ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিশ্বজিতের বক্তব্যও রেকর্ড করে পুলিশকে জমা দিয়েছেন পুরপ্রধান। এ দিন বিকেলে গোপালকেও ধরে পুলিশ। ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের দাবি, শনিবার রাত করে ফিরেছিলেন তিনি। রবিবার তাঁর খোঁজে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগেও চুরি, ছিনতাইয়ে নাম জড়িয়েছে বিশ্বজিতের।

সমরজিৎবাবু বলেন, ‘‘প্রতিবেশী হিসাবে গোপালদার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য ছিল না। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।’’ পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘ এর পিছনে আরও বড় মাথা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই জানা যাবে।’’

শহরের বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডের বক্তব্য, ‘‘কী হয়েছে জানার চেষ্টা করছি। দলীয় কর্মী দোষ করলে সাজা পাবে। কিন্তু যদি তাঁকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয় তাহলে দল পাশে থেকে লড়াই করবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna Car Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy