বিক্ষুব্ধ নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
আগেও প্রকাশ্যে এসেছে ‘দ্বন্দ্ব’, ফের দলের একাংশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার তৃণমূলের প্রাক্তন চার কাউন্সিলর। মঙ্গলবার কাটোয়া শহরের মাধবীতলায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা জানান কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অমর রাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ওয়ার্ড কোভিড কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুর, প্রণব দত্ত ও ভাস্কর মণ্ডল। তাঁদের দাবি, বিহিত চেয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। বিচার না পেলে, দলে থাকা মুশকিল বলেও তাঁদের দাবি।
অমর রামের দাবি, ‘‘২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে তৃণমূল কর্মী ইন্দ্রজিৎ সিংহ খুন হন। আমরা পুরসভায় ক্ষমতায় আসি। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের ইচ্ছায় খুনে অভিযুক্তেরা দলে যোগ দিয়ে আজ প্রথম সারিতে চলে এসেছে। তৎকালীন জেলা পর্যবেক্ষক (অরূপ বিশ্বাস) কোনও কিছু না বুঝেই আমাকে পুরপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেন। আজও বিধায়কের লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমরা যাতে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিই।’’ তাঁর অভিযোগ, পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য হলেও কোনও কিছু জানানো হয় না। জেলা বইমেলাতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অমরবাবুর দাবি, ‘‘যাঁরা মিটিং-মিছিল করছেন তাঁদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তাই বাধ্য হয়ে দলের মধ্যে থেকে ক্ষোভ জানাচ্ছি। জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ কোনও সমস্যার কথা শোনেন না। দলনেত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’ শ্যামল ঠাকুরও বলেন, ‘‘এখনও তাল কাটিনি। দল কী করে, সেটা দেখতে চাই।’’
বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জানি না, ওঁরা এ সব কথা কেন বলছেন। আমরা সবাই এক সঙ্গে মিলেমিশেই দল ও মানুষের হয়ে কাজ করি। যা বলার, রাজ্য নেতৃত্ব বলবেন।’’ দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy