প্রকাশ্য সভায় দলের বিধায়ককে নিশানা। নিজস্ব ছবি।
দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল পূর্ব বর্ধামনে। দলীয় সভায় বিধায়ককে ‘অযোগ্য’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। বিষয়টি সেখানেই থেমে ছিল না। ওই সভামঞ্চ থেকে দলের এক পঞ্চায়েত প্রধানও দাবি করেছেন, কাজের ব্যাপারে কোনও দিনই তাঁর সঙ্গে ‘পেরে’ উঠবেন না বিধায়ক!
পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রকাশ্য সভায় জামালপুরের বিধায়ক অলককুমার মাঝিকে নিশানা করে দলের দুই নেতার তোপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে জেলার রাজনীতিতে। এ বিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এই ধরনের কথা বলেছেন, তাঁরাই আমার হয়ে ভোটে কাজ করেছেন। আমি কাজ করেছি কি না, তার বিচার ওই দু’জন করতে পারেন না। করবেন এলাকার মানুষ।’’
রবিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে জামালপুরের জৌগ্রামের আমড়ামোড়ে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি শ্রীমন্ত রায় বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, ‘‘উনি এক জন অযোগ্য বিধায়ক। এমন অযোগ্য বিধায়ক গোটা পশ্চিমবঙ্গে আর এক জনও নেই।’’ বিধায়কের অনুগামীদেরও নিশানা করে তাঁদের দল থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শাসকদলের ওই নেতা। বলেন, ‘‘যাঁরা বিধায়কের হয়ে ঘেউ ঘেউ করছেন, তাঁরাও সাবধান থাকবেন। তাঁদের পিছনে পেট্রল ঢেলে কী ভাবে তাড়াতে হয়, তা জানা আছে।’’
একই মঞ্চ থেকে সুর চড়ান চকদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘‘আবাসের তালিকা নিয়ে প্রতিটা পঞ্চায়েতে কী সমস্যা হচ্ছে, সে ব্যাপারে কি একবারও খোঁজ নিয়েছেন বিধায়ক?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা সংগঠন করা লোক। এক মাসের মধ্যে বিধায়ক লোক নিয়ে আসুন। আমরাও লোক দিচ্ছি। কোনও দিনই পেরে উঠবেন না।’’
পাল্টা জবাবে বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনও দোষ প্রমাণ হলে দল যা শাস্তি দেবে, মেনে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy