প্রতীকী ছবি।
চিনের একটি সংস্থার সঙ্গে আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য চুক্তি করেছিল ইসিএল। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে চিনের নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে না ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের খোট্টাডিহি কোলিয়ারিতে ওই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার কর্তাদের একাংশ। তবে এটি কোনও ‘সমস্যা নয়’ বলে দাবি করেছেন ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়।
ইসিএল সূত্রে জানা যায়, কয়লা উত্তোলন বাড়াতে ২০১৭-য় কোল ইন্ডিয়া পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি খনির আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ‘কন্টিনিউয়াস মাইনিং’ প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে জন্য ২০১৮-য় একটি দেশীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ইসিএল। ঠিক ছিল, ২০১৯-এ এই প্রকল্পের মাধ্যমে কয়লা খনন শুরু হবে। কিন্তু ওই সংস্থাটির অনভিজ্ঞতার কারণে শেষমেশ ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুরনো চুক্তি বাতিল করে চিনের একটি সংস্থার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে ইসিএল।
সংস্থা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্র নিয়ে খোট্টাডিহিতে আসার কথা ছিল চিনের বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়ানোর পরে চিনের নাগরিকদের আপাতত ভিসা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, ওই বিশেষজ্ঞেরা এ দেশে আসতে পারেননি বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে আধুনিকীকরণ প্রকল্পের কাজ বাধার মুখে পড়ল বলেই মনে করছেন সংস্থার আধিকারিকদেরই একাংশ।
ইসিএল সূত্রে জানা যায়, মূলত কম সময়ে বেশি পরিমাণে কয়লা তোলাটাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে পাঁচ কোটি ৩০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ইসিএল। এই প্রকল্পটি চালু করা গেলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হত বলে মনে করছেন কর্তাদের একাংশ।
যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়। তাঁর কথায়, ‘‘এটা বিশেষ কোনও সমস্যাই নয়। দু’-এক মাসের জন্য প্রকল্পের কাজ থমকে যেতে পারে মাত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy