ওই বধূকে প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। —প্রতীকী চিত্র।
পারিবারিক সমস্যার জেরে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। দিন তিনেক আগে তাঁর মান ভাঙিয়ে আবার বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন শ্বশুর। তার পরেই ওই বধূকে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর,শাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার বর্ধমানের কাটোয়া থানায় এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকেই আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অগ্নিদগ্ধ বধূর নাম রেশমি বিবি। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কাটোয়া থানার কৈথন গ্রামে। শনিবার ওই বধূকে প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য দিকে, গ্রামবাসীরা বধূর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে আটক করে রাখে। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মেমারি থানার ইছাপুরের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা রেশমির সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় কৈথন গ্রামের খেলন শেখের। মনোহর শেখের ছেলে খেলন পেশায় রাজমিস্ত্রী। রেশমি ও খেলনের দুই কন্যাসন্তান। রেশমির বাবা শেখ সাদেকের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাত খেলন ও তার পরিবারের লোকজন। বার বার বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু ওরা শোনেনি।’’
মাস খানেক আগে অশান্তির জেরে রেশমি মেমারিতে বাপের বাড়িতে চলে যান। এক মাস সেখানেই ছিলে। ঈদের পর দিন কেরল থেকে কৈথনে ফেরেন খেলন। তার পর স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। খেলনের বাবাও সঙ্গে গিয়েছিলেন। স্বামী এবং শ্বশুরের আশ্বাস শুনে দিন তিনেক আগে রেশমি দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। তার পরেই এই ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার রেশমির গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। রেশমির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। বধূর বাবা কাটোয়া থানায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম বধূর জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy