‘দখল’ হওয়া ওই পার্টি অফিস। —নিজস্ব চিত্র।
সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধার ঘর জবরদখল করে পার্টি অফিস করার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোডের বাসিন্দা পুষ্পা চক্রবর্তীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে কয়েক বছর আগে একটি দলীয় কার্যালয় তৈরি করে তৃণমূল। কিন্তু পরে সেই ঘর ‘জবরদখল’ করা হয়। ঘর দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি বলে দাবি পুষ্পার দিদি মমতা দেবীর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও দলের রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুষ্পার দিদির অভিযোগ, ২০১৯ সালে তাঁর বোনের থেকে ওই ঘর ভাড়া নিয়ে পার্টি অফিস তৈরি করে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস। পর পর দু’বছর নিয়মিত ভাড়াও পান পুষ্পা। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ওই ঘরের জন্য পুষ্পা আর কোনও ভাড়া পাচ্ছেন না। ঘরটি জবরদখল করে রাখা হয়েছে বলেই তাঁর দিদির অভিযোগ।
পুষ্পার দিদি জানিয়েছেন, বর্তমানে পুষ্পার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তিনি শয্যাশায়ী। বাড়িতে একাই থাকেন। তিনিই মাঝেমধ্যে এসে বোনের দেখাশোনা করেন। মমতা দেবী জানিয়েছেন, ভাড়া না পাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন পুষ্পা। এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মিতাকে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি। টাকা তো পাননি, পাল্টা হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি জানিয়ে বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, থানার দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা হয়নি মেলেনি বলেও দাবি। মমতা দেবীর কথায়, ‘‘প্রথমে কিছু ভাড়া দিলেও গত দু’বছর ভাড়া দেয়নি। ভাড়া চাইলে বা ঘর ছাড়তে বললে গালিগালাজ করা হয়। হুমকি দেওয়া হয়। বোনের ঘরটা ফেরত পেলে ওকে ওখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাব।’’
অন্য দিকে, মিতার দাবি, ‘‘এ ভাবে দলীয় কার্যালয় বন্ধ করা যাবে না। ২০১৯ সাল থেকে আমি সঠিক সময়ে ভাড়া দিয়ে আসছি। এটা দলীয় কার্যালয়। মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই মহিলা। কেউ কিছু একটা শিখিয়ে দিয়েছে।’’
তবে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তা হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কারও সঙ্গে অন্যায় হতে দেবে না।’’
বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত তদন্ত করেছে। শীঘ্রই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy