Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Bardhaman

দুই শিক্ষকের হাতাহাতি পড়ুয়াদের সামনে! নেতাজি জয়ন্তীতে কেনা আপেলের হিসেব নিয়ে ঝামেলা

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের দাবি, নিজেকে ‘বাঁচাতে’ তিনি স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের দাবি, নিজেকে ‘বাঁচাতে’ তিনি স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের দাবি, নিজেকে ‘বাঁচাতে’ তিনি স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:০৯
Share: Save:

নেজাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের ফল দেওয়া হচ্ছিল। সেই সব ফলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন এক সহ-শিক্ষক। অভিযোগ, ফল কেনার খরচ কত হল, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই ঝামেলা শুরু হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকের সেই বাক্‌বিতণ্ডা গড়ায় হাতাহাতিতে। শেষে আহত প্রধানশিক্ষক চিৎকার করে স্কুলের বাইরে লোক জড়ো করেন। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কাটায়ো থানা এলাকার চুরপুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক প্রসেনজিৎ চন্দের অভিযোগ, তিনি সহ-শিক্ষক তথা সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের নেতা কৌশিক দের হাতে প্রহৃত হয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত সহ-শিক্ষকের দাবি, তাঁরা স্রেফ ‘ঠেলাঠেলি’ করেছেন। তবে এই পুরো কাণ্ডটি পড়ুয়াদের সামনে ঘটায় তিনি লজ্জিত।স্থানীয় সূত্রে খবর, কাটোয়ার প্রাথমিক স্কুলে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালনের সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এবং সহশিক্ষকের তর্কাতর্কি শুরু হয়। সহ-শিক্ষকের দাবি, পড়ুয়াদের খারাপ ফল দেওয়া হচ্ছিল। তিনি ফলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন করায় চটে যান ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। স্কুলঘরের মধ্যে দু’জনের বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের দাবি, নিজেকে ‘বাঁচাতে’ তিনি স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরাই চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি হাতে চোট পেয়েছেন। এমনকি, এই ঘটনার বিহিত চেয়ে কাটোয়া থানায় সহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকারের সাধু উদ্যোগ, মরসুমি ফল বিতরণ কর্মসূচিকে বদনাম করার জন্য সহ-শিক্ষক তথা সিপিএম নেতা কোশিক দে এই নোংরা কাজ করেছেন।’’

সহ-শিক্ষকের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ফলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। পড়ুয়াদের বিলির জন্য যে আপেল কেনা হয়েছে, তার হিসেব চাইতে গেলে আমাকে ধাক্কা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক।’’

এ নিয়ে জেলা তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ রায় দায়ী করেছেন সহ-শিক্ষককে। তিনি বলেন,‘‘খুবই লজ্জার ও নিন্দনীয় ঘটনা। কয়েক জন শিক্ষক এখনও রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্য এই সব নোংরামি করছেন। আশা করি, পুলিশ প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নেবে।’’ ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Teacher Fight
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy