বোমাবাজিতে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল। —ফাইল ছবি
গোলমাল ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দুই গোষ্ঠীর পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গলসির ঢোলা গ্রামে বাড়ি থেকেই ওলিউল্লাহ মল্লিক, ইউসুফ শাহ, রফিকুল শাহ, শেখ নওসাদ ও শেখ সাদরে আলমকে ধরে পুলিশ। শুক্রবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ওলিউল্লাহ ও ইউসুফকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের ১৪ দিন জেল-হাজত দেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। আধ ঘণ্টা ধরে গ্রামে অন্তত ৪০টি বোমা ফাটে। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের সামনেও পরপর বোমা পড়ে। ভাঙচুর চলে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে ও কয়েকটি বাড়িতে। এক জন আহত হন। অভিযোগ, গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা লোয়া-রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাকিম মল্লিকের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান চলাকালীন দলেরই কয়েক জন তাঁর বাড়ি ঘিরে বোমা ছোড়ে। অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি, তাঁদেরই লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১২টি বাড়িতে। পুলিশ দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে।
দলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ মোল্লা এবং দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহির আব্বাস মণ্ডলের (সিপাই) মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরেই এই ঘটনা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। যদিও নেতারা কেউ অভিযোগ মানেননি। তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনও ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ কথা মানতে চাননি।
এ দিনও গ্রামের রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গা থেকে পাঁচটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। সেগুলি উদ্ধার করে রামগোপালপুর ফুটবল মাঠে নিষ্ক্রিয় করে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড। গ্রামে ঘুরে দেখা যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি তালা বন্ধ। পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য। পুলিশ পিকেটও রয়েছে গ্রামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy