অভিযোগ, টাকা আদায় করতে কড়াই বিক্রেতাকে অপহরণ করেছিলেন কারখানার মালিক। ছবি: প্রতীকী
দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কারখানা থেকে কড়াই কিনে বিক্রি করেছেন। কিন্তু দাম মেটাননি। দাম আদায় করতে ভিন্ন পথ নিয়েছিলেন সংস্থার মালিকেরা। অভিযোগ, অপহরণ করেছিলেন কড়াই বিক্রেতাকে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান চার জন। আসানসোলের জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধরা পড়েন গাড়ি এবং অপহৃত-সহ ওই ৫ জন।
অপহৃতের নাম সন্তোষ দে। তিনি কাটোয়ার বাসিন্দা। অভিযোগ, ২০২১ সাল থেকে কারখানার কড়াই বিক্রি করেও মালিকদের টাকা দেননি। নানা ভাবে সেই টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন মালিকেরা। অভিযোগ, টাকা আদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত অন্য ফন্দি নেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পান, কাটোয়া-আসানসোল বাসে আসছেন সন্তোষ। তাঁকে ধরার জন্য পানাগড় বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছিলেন চার জন। বাস আসতেই সেখান থেকে নামিয়ে নেন সন্তোষকে। তার পর কালো রঙের চার চাকা গাড়ি করে আসানসোলের দিকে নিয়ে যান।
সেই সময় বাসে থাকা শ্রমিকেরা স্থানীয় থানায় খবর দেন। লোকাল কাঁকসা থানার পুলিশ সমস্ত থানা ও কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে দেয়। রাস্তায় রাস্তায় নাকা চেকিং শুরু হয়ে যায়। আসানসোলের জামুরিয়ায় নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে গাড়ি। কাঁকসা থানার পুলিশ অভিযুক্ত চার জন এবং সন্তোষকে থানায় নিয়ে আসেন। তাঁদের শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ‘‘ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে কোনও একটা গন্ডগোল ছিল। খবর পেয়েই অপহৃতকে উদ্ধার করা গিয়েছে। গাড়িটিও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে পুরো বিষয়টি।’’ অন্য দিকে, ধৃতদের পরিবার থানায় এসে কান্নাকাটি শুরু করেন। অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সন্তোষের থেকে তিন লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা পেতেন কড়াই কারখানার মালিকেরা। কাটোয়ার স্থানীয় কাউন্সিলর-সহ অনেক বিশিষ্ট জনের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। তাই অভিযুক্তেরা এই পথ নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy