হস্টেলে তদন্ত। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে হাউসস্টাফের অপমৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে। ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ওই হাউসস্টাফ শেখ মোবারক হোসেনের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। হস্টেলের আবাসিক ও অন্য হাউসস্টাফদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
বুধবার ভোর পৌনে ৩টে নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের তিন নম্বর বয়েজ় হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় শেখ মোবারক হোসেনের। নীচের তলায় থাকা ছাত্ররা আওয়াজ পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যা তিনি। পরিবারের দাবি, যে ভাবে দেহটি পড়েছিল, যে জায়গায় আঘাত ছিল, তাতে তাঁদের মনে হচ্ছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। বুধবার রাতের দিকে বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আসে ফরেন্সিক দল। তিন সদস্যের দলটি প্রথমেই তিন তলায় যায়। যেখানে থেকে মোবারক পড়ে গিয়েছিলেন সেখানটি ঘুরে দেখেন তাঁরা। মোবারকের ঘরে গিয়ে খুঁটিয়ে পরিস্থিতি দেখেন তাঁরা। যেখানে দেহ পড়েছিল, সেখানেও যান। রক্তের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি খড় দিয়ে তৈরি দেহ উপর থেকে ফেলে দেখা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ নেওয়া হয়।
পূর্বস্থলীর বগপুরের বাসিন্দা, শেখ মোবারকের প্রতিবেশীরা দাবি করেন, মোবারক মিশুকে ছিলেন। ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন। অর্থকষ্টের মধ্যেও তাঁকে ডাক্তারি পড়ান বাবা-দাদারা। তাঁদের দাবি, কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ওই যুবক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy