প্রতি বারই নানা কারণে লিগ শেষ হতে দেরি হয়ে যায়। ক্ষোভ জানান নানা ক্লাবের কর্তা, খেলোয়াড়েরা। এ বারও সেই চিত্রই ফিরে আসতে চলেছে, আশঙ্কা আসানসোল মহকুমার নানা ক্লাবের। কারণ, মহকুমা ক্রী়ড়া সংস্থা এখনও দলবদলের প্রক্রিয়া শুরুই করেনি। সংস্থার কর্তাদের অবশ্য আশ্বাস, অনেক মাঠে খেলা আয়োজন করে ঠিক সময়েই মরসুম শেষ করা হবে।
ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়র ডিভিশন, সুপার ডিভিশন ও ফাস্ট ডিভিশনে মোট ৫৬টি দল খেলে। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে রয়েছে ১৬টি দল আছে। প্রতিটিতেই লিগ ও নকআউট প্রতিযোগিতা হয়। এ ছাড়াও আসানসোল চ্যালেঞ্জ কাপ, আরএ গুটগুটিয়া, বিএল অগ্রবাল স্মৃতি ফুটবলেরও আয়োজন করে ক্রীড়া সংস্থা।
আসানসোলে প্রতি বছরই ফুটবল মরসুম শুরু হতে জুলাইয়ের শেষ দিক বা অগস্টের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে যায়। তাতে অসুবিধায় পড়েন খেলোয়াড়, রেফারি থেকে কর্মকর্তারা। বর্ষায় মাঠের হাল খারাপ হয়। অভিযোগ, বার্নপুর ইউনাইটেড ক্লাব ও আসানসোল রেল স্টেডিয়ামে মাঠে চুনের দাগ উঠে যায়। কালাঝরিয়া, মিঠানি, সোদপুর ও নিয়ামতপুর ডেডি মাঠেরও এক অবস্থা হয়। ক্লাবকর্তারা দাবি করেন, মে-র তৃতীয় সপ্তাহে ফুটবল মরসুম শুরু করে অগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করা উচিত। কিন্তু আদতে অগস্টে শুরু হয়ে তা শেষ হয় পরের বছরের গোড়ায়। ২০১৬-র শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে।
ফুটবলার দীপন ওরাং জানান, অগস্ট থেকে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার বাইরেও প্রচুর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। অনেক খেলোয়াড় অন্যত্র খেলতে চলে যান। তাতে ক্লাবকর্তারা বিপাকে পড়েন। রেফারি সুখেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ক্রীড়া সংস্থার লিগ শেষের আগেই নানা প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় পর্যাপ্ত রেফারি মেলে না। দু’টি ক্লাবের এক জন করে সদস্যকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রেফারি করে খেলা পরিচালনা করতে হয়। তাতে অসুবিধা হয়। নভেম্বরে আলো তাড়াতাড়ি কমে আসায় খেলার সময়ও ছোট করতে হয়। তাতে আখেরে খেলারই ক্ষতি হয়, অভিযোগ নানা পক্ষের ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমল সরকার অবশ্য বলেন, “আসানসোলে গরম বেশি। অনেক দলই এই সময়ে খেলতে চায় না। দেরিতে শুরু হলেও প্রচুর মাঠে খেলা আয়োজিত হওয়ায় শেষ হতে দেরি হয় না। ঠিক সময়েই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। প্রতিটি ক্লাব দলবদলের তালিকা জমা দেওয়ার পরে খেলা শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy