বাবুল সুপ্রিয়।
দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের অফিস তথা বাসভবনে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই কয়েকজন নেতা, কর্মী। মঙ্গলবার আসানসোলের মহিশীলার ঘটনা। বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের একাংশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা দলের অন্দরে সাংসদের অনুগামী বলে পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে তাই দুই নেতার দ্বন্দ্বই দেখছেন দলের কর্মী, সমর্থকদের একাংশ।
যদিও লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘দল আমাকে জেলা সভাপতি পদে মনোনীত করেছে। ফলে, কারা, কোথায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তা আমার জানা নেই। তবে, এটা বলতে পারি, দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’ বাবুলকে ফোন করা হলেও রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শতাধিক বিজেপি নেতা, কর্মী বাবুলের মহিশীলার ওই আবাসনের সামনে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেখানে কার্যত চিৎকার করেই দলের জেলা সভাপতির অপসারণের দাবি জানাতে থাকেন ওই বিক্ষোভকারীরা। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে বাবুলের কাছেও এই দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনাও করেন বাবুল। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের একাংশ জানান, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে শিল্পাঞ্চলে দলের এক যুবনেতা এবং অন্য এক নেতাকে। ঘটনাচক্রে, যাঁরা দলের অন্দরে বাবুলের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত।
তবে চলতি মাসের গোড়ায় লক্ষ্মণবাবু ফের জেলা সভাপতি হওয়ার পরে থেকেই দলের একাংশে তাঁকে অপসারণের দাবি উঠছিল বলে বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের একাংশ জানান। এমনকি, সপ্তাহখানেক আগে আসানসোলের এক বিজেপি নেত্রীর হোটেলেও এ দিনের বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন এবং সেখানেও দলীয় আলোচনায় লক্ষ্মণবাবুর অপসারণের দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবারের সান্ধ্য-বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দে বলেন, ‘‘যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা সাংগঠনিক রীতিনীতি জানেন না। দ্রুত আমরা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলব।’’ আসানসোলের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অনেক জায়গাতেই এমন বিক্ষোভ হয়। তবে বিক্ষোভ হলেই জেলা সভাপতি বদলে ফেলতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy