Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Ferry Ghats

রণডিহায় দামোদরের ফেরিঘাটে নানা অব্যবস্থার অভিযোগ

দামোদর নদ গিয়েছে বুদবুদের রণডিহার পাশ দিয়েই। এর এক দিকে পূর্ব বর্ধমান, অন্য দিকে বাঁকুড়া জেলা। সহজে যাতায়াতের জন্য অনেকেই এই জলপথ ব্যবহার করেন।

অস্থায়ী ফেরিঘাট। এখানেই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র

অস্থায়ী ফেরিঘাট। এখানেই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুদবুদ শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৯
Share: Save:

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের বহু এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম জলপথ। সে জন্য গলসি ১ ব্লকের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহা এলাকায় রয়েছে অস্থায়ী ফেরিঘাট।তাই এর পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, নৌকায় পারাপার করা হলেও, লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় না তাঁদের। যে কোনও দিন বিপদ ঘটে যেতে পারে। ফেরিঘাটের উন্নয়নের জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি।অভিযোগও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

দামোদর নদ গিয়েছে বুদবুদের রণডিহার পাশ দিয়েই। এর এক দিকে পূর্ব বর্ধমান, অন্য দিকে বাঁকুড়া জেলা। সহজে যাতায়াতের জন্য অনেকেই এই জলপথ ব্যবহার করেন। সোনামুখীর রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বিভিন্ন গ্রামের বহু বাসিন্দাপ্রতিদিন নানা কাজে দামোদর পেরিয়ে দুই বর্ধমানের নানা জায়গায় যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই জলপথে আবার বাঁকুড়ার ওই সব জায়গায় খুব সহজেই পৌঁছনো যায়। ঘুরপথে যেতেহলে দুর্গাপুর হয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয় তাঁদের। এই জলপথে ৫-১০ কিলোমিটার গেলেই গন্তব্যে পৌঁছনো যায় বলেদাবি তাঁদের।

প্রতিদিন রণডিহার ফেরিঘাট থেকে একটি নৌকা চলে। নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, ভোর থেকেই পারাপার শুরু হয়ে যায়। অথচ যাত্রীদের বসার কোনও জায়গা নেই। কাজেই বর্ষার দিনে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। শিক্ষিকা অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর স্কুলটি রয়েছে কসবা মানা এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের দিকে হলেও, স্কুলের প্রশাসনিক কাজকর্ম হয় সোনামুখীতে। তিনি বলেন, “এখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। নদের জল বেড়ে গেলে ফেরিঘাট জলের তলায় চলে যায়। অস্থায়ী ফেরিঘাট থাকায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।” আবার সোনামুখীর দিক থেকে অনেকে আনাজ, দুধ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতে যান। তেমনই এক জন উৎপল ঘোষ বলেন, “সব সময় নৌকা মেলে না। বাঁকুড়ার দিকেও কোনও স্থায়ী ফেরিঘাট নেই। নদে জল বেড়ে গেলে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা মলয় চট্টোপাধ্যায়, অরূপ জানারা বলেন, “এই পথ দিয়ে সারা বছর ধরে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। স্থায়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থা করা হলে অনেকে উপকৃত হবেন।”

গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফেরিঘাটের উন্নয়নের জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। নৌকায় পারাপারের সময় যাতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Ferry Ghats randiha Budbud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy