পুজো হবে উল্লাসপুর-গোপালপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে। নিজস্ব চিত্র।
কখনও মন্বন্তরে, কখনও বন্যায় ধ্বংস হয়েছে গোপালপুর গ্রামটি। তার পরেও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র নিত্যসঙ্গী এখানকার বাসিন্দাদের। তবু তাঁরা হার মানতে নারাজ। দিন এনে দিন খেয়ে এ বার তাঁরা আয়োজন করছেন দুর্গাপুজোর। নিজেদের এক দিনের মজুরি দিয়ে পুজো শুরু করেছেন ক্ষেতমজুররা। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় দুই কৃষককে পুজোর মাধ্যমেই শুরু হবে উৎসব।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পাণ্ডুরাজার ঢিবির পাশে প্রাচীন গ্রাম গোপালপুর। ১১৭৬ বঙ্গাব্দের মন্বন্তর ও ১৯৮৬ সালে অজয়ের প্লাবন-সহ একাধিক বার এই গ্রামটি ধ্বংস হয়েছে। গত ৩৫০-৪০০ বছর ধরে গ্রামে কোনও পুজো হয় না। সেই গোপালপুর গ্রামে ১২০ ঘরের বাস। বেশির ভাগই পেশায় খেতমজুর। প্রত্যেক পরিবার নিজেদের এক দিনের মজুরি ৩০০ টাকা দিয়ে শুরু করল পুজো।
পুজো হবে উল্লাসপুর-গোপালপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে। উদ্যোক্তাদের কয়েক জন বলেন, ‘‘আমাদের এই গ্রামে আগে পুজো হত না। পাশে বা দূরের গ্রামে বাবুদের বাড়িতে পুজো দেখতে যেতাম। তাই আমরা, ক্ষেতমজুররা মিলিত ভাবে এ বছর প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছি আমাদের গ্রামে।’’ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মূল পুজোটি পরিচালনা করছে উল্লাসপুর-গোপালপুরের ৩০ জন মহিলার একটি দল। প্রতিমা গড়েছেন নিতাই পাল। রায়বেঁশে দলের রণনৃত্য হবে নবমীর দিন। গ্রামের দু’জন কৃষককে পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসবের শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy