তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।
আগামী এক সপ্তাহ কোনও নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর ভাইরাল ভিডিয়ো ক্লিপের পর এমনই ‘শাস্তি’ ঘোষণা করল কমিশন।
উল্লেখ্য, একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের খোলাখুলি হুমকি দিতে শোনা যায় পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ককে। সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত লাউদোহা ব্লকে এক কর্মী বৈঠকে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি ওই হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যদিও যাচাই করেনি।
ভিডিয়োতে বিধায়ককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদেরকে হেলানো যাবে না তাঁদের চমকাতে হবে। বলবেন, আপনি যদি ভোট দিতে যান, তা হলে ধরে নেব বিজেপি-কে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার নিজের বিষয়। আর আপনি যদি ভোট দিতে না যান তা হলে ধরে নেব, আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। আপনি ভাল ভাবে থাকুন ব্যবসা করুন, চাকরি করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। ক্লিয়ার!’’
তবে এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে নরেন বলেছিলেন ওই ভিডিয়ো নাকি পুরনো। তাঁর কথায়, রেন্দ্রনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘কোনও পঞ্চায়েত ভোটে হয়তো কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য বলেছিলাম। পাণ্ডবেশ্বরে আমরা সব দলের কর্মীরা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি। এখানে শান্তিতে ভোট হয়। শান্তিতে ভোট হবে।’’
তবে তাঁর এই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করে বিজেপি। এফআইআরে বলা হয়, তৃণমূল বিধায়কের এ হেন হুমকি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদ্জনক। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোট কী ভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। তার পরেই তৃণমূল বিধায়কের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিল নির্বাচন কমিশন। ৩০ মার্চ, বুধবার সকাল ১০ টা থেকে আগামী ৬ এপ্রিল রাত ৮ টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। আগামী ৭ দিন কোনও প্রচারে থাকতে পারবেন না তৃণমূল বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy