প্রামাণিক বাড়ির পুজো। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানে বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি প্রাচীন রীতি নীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পারিবারিক পুজোও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্ধমান শহরে খাজা আনোয়ার বেড়ের প্রামাণিক বাড়ির পুজো অন্যতম প্রাচীন। প্রায় ২৬০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে কলকাতা থেকে বর্ধমানে গিয়ে ব্যবসায়ী বিহারী লাল প্রামাণিক এই পুজো শুরু করেছিলেন। বর্ধমানের নবাবের কাছ থেকে জায়গা নিয়ে দেবীর পাকা দুর্গা দালান তৈরি করেন তিনি।
এখানকার প্রতিমার মূল কাঠামো হল লোহার। ষষ্ঠীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত ভোরে মঙ্গলারতি এখানকার পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পুজোর কয়েক দিন ভোরে আরতির সময় দেবীকে লুচি, মিষ্টি এবং ফল ভোগ দেওয়া হয়। আতপ চালের নৈবেদ্য দিয়ে দেবীর বিছানা করা হয়। নবমীতে হয় কুমারী পুজো। অতীতে পুজোর দিন গুলিতে যাত্রাপালা এবং জলসার আয়োজন করা হত। সে সব এখন আর নেই। তবে এখনোও পুজো হয় নিষ্ঠার সঙ্গে আচার মেনেই।
প্রামাণিক পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও পুজোর সময় তাঁরা সকলেই একত্রিত হন। ওই পরিবারের সদস্য চৈত্র প্রামাণিক বলেছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ১০৮ টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আগে এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হত পুজোয়। তবে এখন এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয় না।’’ ওই পরিবারের অপর সদস্য জিতু প্রামাণিক বলেছেন, ‘‘গত বছর কোভিড আবহের মধ্যে ঘট পুজো করা হয়েছিল। মূর্তি পুজো হয়নি। পরিবারের সদস্যরা অনেকেই তো বাইরে থাকেন। তাঁরাও গত বছর কোভিডের জন্য পুজোয় আসতে পারেননি। তবে এ বছর অনেকেই এসেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy