দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
পুনর্বাসনের দাবিতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে (ডিটিপিএস) শনিবার থেকে টানা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন বস্তিবাসীরা। পুনর্বাসনের আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত অবস্থান চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। অন্য দিকে, ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষ কলোনিতে কত জন অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের মায়াবাজারে ডিভিসি ১৯৬৬ সালে ডিটিপিএস গড়ে তোলে। চালু ইউনিট বন্ধ হওয়ার পরে প্রায় বছর তিনেক ধরে উৎপাদনহীন হয়ে পড়ে রয়েছে ডিটিপিএস। সম্প্রতি ডিভিসি সেখানে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৮০০ মেগাওয়াটের একটি ‘সুপারক্রিটিক্যাল’ ইউনিট স্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় জমির জন্য ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষ ডিটিপিএস কলোনি, মায়াবাজার-সহ সংলগ্ন এলাকার অবৈধ দখলদারদের এলাকা ফাঁকা করতে নোটিস জারি করেছেন। প্রতিবাদে সেই সব বাসিন্দারা প্রায় ন’মাস ধরে ‘দুর্গাপুর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটি’র নেতৃত্বে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পুনর্বাসনের দাবিতে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সীমানা পাঁচিল দেওয়ার সময়ে একাধিকবার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বস্তিবাসীরা পুনর্বাসনের দাবিতে ডিটিপিএসের সামনে তিন দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। এর পর শনিবার থেকে টানা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন। মোট ১৭০ জন অবস্থানে বসেছেন। তাঁদের তরফে অরিন্দম নায়ক, চুমকি অঙ্কুররা বলেন, “যতক্ষণ না আমরা উচ্চতর আধিকারিক বা কোনও মন্ত্রীর তরফে আশ্বাস পাচ্ছি, আমাদের অবস্থান চলবে।” ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার কিছু দিন আগে দুর্গাপুরে এসে জানিয়ে দেন, পুনর্বাসনের কোনও প্রতিশ্রুতি তাঁরা দিচ্ছেন না। তিনি দাবি করেছিলেন, হাতেগোনা কয়েক জন রয়েছেন। কিন্তু সংখ্যায় তাঁরা ঠিক কত জন, সে তথ্য নেই ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষের কাছে বলে দাবি। ডিটিপিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলোনিতে ঠিক কত জন অবৈধ বসবাসকারী আছেন, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের কলোনিতে কত মানুষ অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তা জানতে জরিপ চালানো হচ্ছে। এটা সরকারের কাজ, এতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। যা দাবি আছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহের পরে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাঁরা কাউকে সরিয়ে দিচ্ছেন না বা উঠে যেতে বলছেন না। শুধু সীমানা পাঁচিলের কাজে সহযোগিতা করার আর্জি জানাচ্ছেন।
ডিটিপিএসের ডিজিএম প্রশান্ত ধাওয়া বলেন, “সরকারি কাজে বাধা না দেওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। পাঁচিলের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy