দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
পুনর্বাসনের দাবিতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে (ডিটিপিএস) প্রায় ৯ মাস ধরে আন্দোলন করছেন উচ্ছেদের নোটিস পাওয়া বস্তিবাসীরা। পাঁচিল দেওয়ার সময়ে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। রবিবার পাল্টা সভা করে পাঁচিল দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করে নতুন ইউনিট নির্মাণ শুরুর দাবি জানালেন লাগোয়া ছ’টি গ্রামের সম্মিলিত ‘ভিলেজ কো-অর্ডিনেশন কমিটি’।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের মায়াবাজারে ডিটিপিএসের একমাত্র চালু ইউনিটটি প্রায় ৩ বছর ধরে বন্ধ থাকার পরে, সেখানে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৮০০ মেগাওয়াটের একটি ‘সুপারক্রিটিক্যাল ইউনিট’ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে ডিভিসি। প্রয়োজনীয় জমির জন্য ডিটিপিএস কলোনি, মায়াবাজার-সহ লাগোয়া এলাকার দখলদারদের এলাকা ফাঁকা করার নোটিস দেওয়া হয়। প্রতিবাদে সেই বাসিন্দারা ‘দুর্গাপুর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটি’র নেতৃত্বে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ‘ভিলেজ কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র পাল্টা দাবি, এই আন্দোলনের জেরে যেন কারখানা অন্যত্র চলে না যায়, তা দেখতে হবে সবাইকে। কারণ লগ্নি এলে এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সোমবার গ্রামবাসী জড়ো হয়ে পাঁচিল দেওয়ার কাজে গতি আনার দাবি জানান। সেই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাবেই পাঁচিল দেওয়ার কাজে ঢিলেমি এসেছে। পাঁচিল দিলে গ্রামের ভিতরে যাতায়াতের রাস্তার কী হবে, স্কুল, হাসপাতাল, ডাকঘর, বাজার কোথায় স্থানান্তর হবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এ দিন বিক্ষোভে ডিটিপিএসের কর্মীদেরও কেউ কেউ শামিল হন। শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জনের দাবি, ‘‘আগেও এখানে নতুন ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু তা চলে যায় অন্য জায়গায়। তেমন আর যেন না হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনার কথা আমাদের জানাচ্ছেন না। ফলে, আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।” ভিলেজ কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহ-সভাপতি অশোক দত্তের বক্তব্য, “এলাকায় কারখানা যাতে হয়, তা মাথায় রেখে বস্তিবাসীদের বুঝিয়েছি। কিন্তু কারও কারও উস্কানিতে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। পাঁচিল নির্মাণে তৎপরতা কোথায়?”
ডিটিপিএসের ডিজিএম প্রশান্ত ধাবা বলেন, "মাঝে একটু ঢিলেমি হয়েছিল। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় কাজ এগোচ্ছে। দ্রুত শেষ হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy