পানীয় জলের অভাব দূর করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলের এটিএম (ওয়াটার এটিএম) বসানোয় উদ্যোগী হল দুর্গাপুর পুরসভা। রাস্তায় বেরিয়ে জল না পেয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। সকলের পক্ষে দোকান থেকে বেশি দামের জলের বোতল কেনা সম্ভব হয় না। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই শহরের আট জায়গায় এই ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা জল দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্টেশন, ডিএসপি হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, বিধাননগরে দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল, সেক্টর ২সি ময়দান, সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দান ও মুচিপাড়া মোড়ে এই ‘ওয়াটার এটিএম’ বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। ঘর ও অন্য পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বাজেট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যাঙ্কের এটিএমে যেমন কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়, ওয়াটার এটিএমের ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে জলের পাউচ মিলবে। এটি এক ধরনের ‘ভেন্ডিং’ মেশিন। এটিএমের মতো দেখতে এই যন্ত্র দেখা যায় বড় শহরের শপিংমলে। নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা দিয়ে নেওয়া টোকেন ঢোকালেই বেরিয়ে আসে চা-কফি, ঠান্ডা পানীয়, দুধের প্যাকেট, চকোলেট, চিপস-সহ নানা সামগ্রী। এমন ‘ভেন্ডিং’ মেশিনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু হয়েছে লখনউ, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের নানা শহরে। সম্প্রতি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে সেখানে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। আপাতত এক টাকার বিনিময়ে এক লিটার জল মিলছে সেখানে।
দুর্গাপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের দাম কী হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। পরিকাঠামো তৈরির পরে তা চালুর দায়িত্ব দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে। কারণ, এটিএম পুরোপুরি চালু করার অনেক খরচ। সেই বেসরকারি সংস্থা বাকি খরচ দেবে। তাই জলের দাম নির্দিষ্ট করার আগে সে দিকটিও ভেবে দেখতে হবে। তবে বাজার-দোকানে যে জলের বোতল মেলে, তার তুলনায় এই এটিএমের জলের দাম যে অনেক কম হবে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই বলে জানান পুরসভার এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘শুধু তৃষ্ণা মেটানো নয়, প্রয়োজনে বাড়িতে খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ জলও নিয়ে যেতে পারবেন পথচারীরা।’’
পুর কর্তৃপক্ষের একটি অংশের অবশ্য সংশয়, চলতি পুরবোর্ডের মেয়াদ আর মাত্র কয়েক দিন। তাই তার আগে এই ‘ওয়াটার এটিএম’ তৈরি শুরু না হলে গোটা প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কবে শহরবাসী এই সুবিধে পাবেন, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা পুরকর্তাদের অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy