ফাইল চিত্র।
মার্চের গোড়ায় আসানসোলে এক অনুষ্ঠানে দুর্গাপুর থেকে চেন্নাই বিমান পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। অক্টোবরের শেষ দিকে এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে অণ্ডাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। যে সংস্থা অণ্ডাল-মুম্বই বিমান পরিষেবা দেয়, তারাই সপ্তাহে সাত দিন চেন্নাইয়ের বিমান চালাবে বলে জানা গিয়েছে।
অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে এখন সপ্তাহে চার দিন দিল্লি ও তিন দিন হায়দরাবাদগামী বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া। এ ছাড়া একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা কেন্দ্রের ‘উড়ান’ প্রকল্পে সপ্তাহে সাত দিন মুম্বইয়ের বিমান চালায়। সেই সংস্থাই ২৭ অক্টোবর থেকে চেন্নাইয়ের বিমান পরিষেবা শুরু করতে চলেছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে চেন্নাই থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ নাগাদ বিমান অণ্ডালে পৌঁছবে। আবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে সেখান থেকে ছেড়ে চেন্নাই পৌঁছবে রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ইতিমধ্যে ওই বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর অপূর্ব শর্মা জানান, ১৬৮ আসনের বোয়িং ৭৩৭ বিমান চালাবে ওই সংস্থা। এখন মুম্বইয়ের বিমান চলে সকালে। অক্টোবরের শেষ থেকে সেটিও সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় চলবে বলে জানান তিনি।
চেন্নাইয়ের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ গড়ে ওঠার খবরে খুশি শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা। আসানসোল-দুর্গাপুর থেকে চেন্নাই যেতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। সেখানে বিমানে সময় লাগবে দু’ঘণ্টার কিছু বেশি। ‘দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর সভাপতি কবি দত্ত বলেন, ‘‘দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদের পরে এ বার চেন্নাইয়ে বিমান যোগাযোগ গড়ে ওঠায় অনেক সুবিধা হবে। চিকিৎসা, চাকরি, পড়াশোনা, ব্যবসা, বেড়ানো-সহ নানা প্রয়োজনে শিল্পাঞ্চলের অনেককে চেন্নাইয়ে যেতে হয়। তাঁদের সুবিধা হবে।’’
দীর্ঘদিন ধরে শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা দুর্গাপুর থেকে চেন্নাইয়ের বিমান চালুর দাবি জানিয়ে এসেছেন। চেন্নাই, ভেলোর-সহ নানা জায়গার হাসপাতালে এই এলাকা থেকে অনেকে চিকিৎসা করাতে যান। বিমানে যেতে হলে তাঁদের দমদমে যেতে হয়। অনেকে ট্রেনে যান। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের বাসিন্দা অমিতাভ রায় বলেন, ‘‘পেটের সমস্যায় ভুগছি। চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার জন্য দমদমে গিয়ে বিমান ধরতে হয়। দুর্গাপুর থেকে বিমান চালু হলে সময় বাঁচবে, ঝঞ্ঝাটও কমবে।’’ জামুড়িয়ার বাসিন্দা রানা ঘোষ বলেন, ‘‘বাবাকে বছরে অন্তত তিন বার ভেলোরে নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। দমদম থেকে বিমানের ভাড়া এক-এক সময় খুব বেশি পড়ে। তখন ট্রেনে যেতে হয়। দুর্গাপুর থেকে বিমান চালু হলে আগে থেকে কম ভাড়ায় টিকিট কেটে রেখে বিমানেই বাবাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy