কাটোয়ায় ঝঙ্কার ক্লাবের মণ্ডপে ভিড়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
কার্তিক পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেল কাটোয়ায়। বৃহস্পতিবার থেকেই কাটোয়া শহর আলোয় সেজে ওঠে। বিকেলে শহরের সংহতি মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে পুজোর রুটম্যাপ ও স্মারক গ্রন্থ উদ্বোধন করা হয়। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ, কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক, আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গ্যোপাধ্যায়, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কাটোয়া ও দাঁইহাটের পুরপ্রধান সমীরকুমার সাহা ও প্রদীপ রায়।
গত বছর কার্তিক পুজো ও দাঁইহাটের রাস উৎসবের নিরিখে তিনটি করে ক্লাবকে আর্থিক সাহায্য ও পুরস্কার দেওয়া হয় এ দিন। কার্তিক আরাধনায় প্রথম হয় কাছারিপাড়ার ঝঙ্কার ক্লাব, দ্বিতীয় হয়েছে পানুহাটের নিউ আপনজন ক্লাব ও তৃতীয় হয়েছে সার্কাস ময়দানের বিদ্যাসাগরপল্লি পুজো কমিটি।
রাস উৎসবে প্রথম হয়েছে বৌদ্ধ সঙ্ঘ, দ্বিতীয় নবজাগরণ ও তৃতীয় হয়েছে বিবেক দল। উৎসাহ দিতে পুজো কমিটিগুলির কর্মকর্তাদের হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। শহরকে সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পুরসভার ৪৯৫ জন সাফাইকর্মীকে সংসবর্ধনা দিয়ে প্রত্যেকের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেয় পুলিশ, প্রশাসন। সন্ধ্যেয় ঝঙ্কার ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার।
ওই ক্লাবের সম্পাদক কালীচরণ চট্টোরাজ বলেন, “অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য এ দিন থেকেই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।”
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “কার্তিক লড়াই কাটোয়ার ঐতিহ্য। দর্শনার্থীদের সুবিধার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে।”
এ বার দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য কার্তিক লড়াইয়ের রুট কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রত্যেক পুজো কমিটিকে যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলার আর্জি জানান বিধায়ক। অন্য বড় পুজোগুলিও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বাইরে থেকে অনেক বাড়িতে লোকজন আসাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy