মামরাবাজারের দোকানে বিতরণ করা হচ্ছে রসগোল্লা। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিকাশ মশান
ঠিক দু’বছর আগে ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা জিআই-স্বীকৃতি পেয়েছিল বাংলার রসগোল্লা। তাই ১৪ নভেম্বর ‘রসগোল্লা দিবস’ পালন করেন রাজ্যের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। দুর্গাপুরের মামরাবাজারের একটি মিষ্টির দোকানে সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিনামূল্যে রসগোল্লা খাওয়ানো হল ক্রেতাদের। কচিকাঁচা থেকে প্রবীণ, লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রসগোল্লা খেলেন সকলেই।
মামরা বিধানপল্লির বাসিন্দা প্রয়াত মহাদেব ঘোষ ১৯৭২ সালে মিষ্টির দোকানটি করেছিলেন। এখন তা দেখাশোনা করেন তাঁর ছেলে স্বপন ঘোষ। তাঁকে সাহায্য করেন ভাগ্নে উৎপল ঘোষ। এ দিন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, নানা গামলায় সাজানো ২০ রকমের রসগোল্লা। দাম ৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। সকাল থেকে সাদা, হলুদ, কমলা-সহ নানা রং ও আকৃতির রসগোল্লা বিক্রি চলছিল। সকাল ১০টা নাগাদ জানানো হয়, পরবর্তী এক ঘণ্টা ক্রেতাদের বিনামূল্যে রসগোল্লা খাওয়ানো হবে।
উনুনে তৈরি হচ্ছিল গরম রসগোল্লা। প্লেটে করে ধোঁয়া ওঠা মিষ্টি তুলে দেওয়া হচ্ছিল ক্রেতাদের হাতে। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের কথা মাথায় রেখে ‘সুগার ফ্রি’ রসগোল্লাও তৈরি করা হয়েছিল। দোকান কর্তৃপক্ষ জানান, প্রায় দু’হাজার রসগোল্লা বিলি করা হয়েছে। এবিএল সংলগ্ন স্বপ্না মার্কেট থেকে এসেছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি রামেশ্বর শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘শুনলাম, দোকানে রসগোল্লা খাওয়ানো হবে। তাই এসেছি।’’ সেপকো টাউনশিপের রাখী মণ্ডল বলেন, ‘‘রসগোল্লা আমার সবচেয়ে পছন্দের মিষ্টি। গরম রসগোল্লার কোনও তুলনা হয় না!’’ টিউশন থেকে ফেরার পথে দোকানে হাজির স্কুলছাত্র আকাশ চৌধুরী, সাহেব চক্রবর্তীরা। তারা বলে, ‘‘রসগোল্লা খাওয়ার সুযোগ কে ছাড়ে!’’
কেন হঠাৎ এমন উদ্যোগ? স্বপনবাবু বলেন, ‘‘বাংলার রসগোল্লাকে জিআই স্বীকৃতি পেতে ওড়িশার সঙ্গে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। রসগোল্লাই ক্রেতাদের সবচেয়ে পছন্দের মিষ্টি। তাই আমরা ক্রেতাদের রসগোল্লা খাইয়ে এই দিনটি পালন করলাম।’’ উৎপলবাবু বলেন, ‘‘বছরভর ক্রেতারা খরচ করেই মিষ্টি কেনেন। রসগোল্লা দিবস উপলক্ষে তাঁদের রসগোল্লা খাওয়াতে পেরে আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy