পরিচারিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএম নেতাকে। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের। পরিচারিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিপিএম নেতাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় কৃষক ওই সিপিএম নেতা ভাতারের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিপিএমের ভাতার-১ ব্লকের এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। সন্তানের পড়াশোনার সুবিধার্থে তাকে নিয়ে বর্ধমান শহরের কাছে আলাদা থাকেন স্ত্রী। ওই গ্রামেই অভিযোগকারিণী পরিচারিকার বাপের বাড়ি। ৫ বছর আগে পরিচারিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। তাঁরও এক সন্তান রয়েছে। প্রাক্তন স্বামীর কাছে থাকে সন্তান। সিপিএম নেতার বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা। তাঁদের দেখভাল এবং বাড়ির কাজের জন্য ওই মহিলাকে পরিচারিকার কাজে নিয়োগ করেছিলেন তিনি।
পরিচারিকার অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন ওই সিপিএম নেতা। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, গত ৯ মাস ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন ওই সিপিএম নেতা। তিনি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন ওই পরিচারিকা। এর পরেই ওই নেতা তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ পরিচারিকার। বুধবার রাতে ভাতার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পরিচারিকা। তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই সিপিএম নেতা। তাঁর দাবি, ‘‘আমি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’
এই ঘটনাকে ঘিরে জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের চাপে রাখতে চক্রান্ত করে ওই নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের সারা ভারত কৃষকসভার পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক নজরুল হক বলেন, ‘‘শাসকদল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের সংগঠন বৃদ্ধি পেতে দেখে তৃণমূল এই ধরনের চক্রান্ত করেছে।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলি বলেন, ‘‘উন্নয়নের কারণে সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের ওই ধরনের চক্রান্তের কোনও প্রয়োজনই নেই। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
প্রসঙ্গত, কোনও মহিলা যদি স্বেচ্ছায় কোনও পুরুষের সঙ্গে সহবাস করেন, তবে সম্পর্ক ভেঙে গেলে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে পারেন না মহিলা। গত বছর সহবাস সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনটাই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনায় ভাতার থানার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy