সহগলকে আসানসোল স্টেশনে নিয়ে আসার মুহূর্তে। ফাইল চিত্র।
কড়া নিরাপত্তায় গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত সহগল হোসেনকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিল আসানসোলের পুলিশ। জালিয়ানওয়ালাবাগ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ আসানসোল স্টেশন থেকে ছেড়েছে সেই ট্রেন। সূত্রের খবর, আসানসোল কমিশনারেটের মোট সাত জন পুলিশকর্মী সহগলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন সাব-ইন্সপেক্টর রয়েছেন। পুলিশকর্মীদের হাতে একে ফর্টি সেভেন ও ইনসাস রাইফেল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে নির্দেশের পরে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বাড়ে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে উপযুক্ত নিরাপত্তার আর্জিও জানানো হয়। সংশোধনাগার চত্বরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনীও। সূত্রের খবর, আসানসোল পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সহগলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার গোটা পরিকল্পনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তরফেও প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, সহগলকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। তবে হাই কোর্ট জানিয়েছে, ইডি কত দিন সহগলকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে, তা ঠিক করবে নিম্ন আদালত। তবে সূত্রের দাবি, সহগলকে আগে দিল্লির আদালতে হাজির করানো হবে। সেখানে বিচারক যদিও তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন, তা হলে সহগলের সঙ্গে যে সব পুলিশকর্মী দিল্লি গিয়েছেন শুক্রবার, তাঁরা রাজ্যে ফিরে আসবেন।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সহগলের নামে বিপুল পরিমাণে বেআইনি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই ও ইডি। সহগলকে দিল্লি নিয়ে আসার মামলায় দিল্লি হাই কোর্টেরও পর্যবেক্ষণ, তদন্তে দেরি হলে গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সহগলের জন্য কিছু সুরাহাও দিয়েছে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, ইডির দফতরে প্রতি দিন দু’দফায় এক ঘণ্টা করে তাঁর আইনজীবী সহগলকে দেখতে পারবেন। তবে মক্কেলকে দেখতে পেলেও তদন্তকারীদের সঙ্গে তাঁর কী কথা হচ্ছে না-হচ্ছে, তা কিছুই শুনতে পারবেন না। এখন দেখার, সহগলকে ক’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy