Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বই দেওয়া হচ্ছে ‘শুনে’ ভিড় স্কুলে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৬টা থেকে অভিভাবকেরা স্কুলের গেটের সামনে লাইন দেন। স্কুলের সীমানা থেকে রাস্তা পর্যন্ত লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন কয়েকশো অভিভাবক।

স্কুলের সামনে। নিজস্ব চিত্র

স্কুলের সামনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৩:৫৪
Share: Save:

ছেলেমেয়েদের জন্য বই নিতে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি লাগোয়া বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম একটি স্কুলে ভিড় জমালেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ, নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মানা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি-সহ শহরের কোনও স্কুলকেই বই বিলির অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্কুলের অধ্যক্ষ সুতপা আচার্যের দাবি, ‘‘অনলাইন ক্লাসের সুবিধার জন্য স্কুলের ‘হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ’ রয়েছে। সেখানে কেউ স্কুল থেকে বই দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তার পরেই এই পরিস্থিতি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৬টা থেকে অভিভাবকেরা স্কুলের গেটের সামনে লাইন দেন। স্কুলের সীমানা থেকে রাস্তা পর্যন্ত লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন কয়েকশো অভিভাবক। প্রথম দিকে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হলেও, পরে লাইন লম্বা হলে আর তা মানা হচ্ছে না বলে দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ বই বিলির জন্য ‘টোকেন’ দেওয়া হবে বলে জানাতেই কে আগে ‘টোকেন’ নেবেন তা নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে বলে অভিভাবকদের একাংশের দাবি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ‘টোকেন’ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিভাবকদের দাবি, সোমবার কয়েকজন অভিভাবককে ডেকে বই দেওয়া হয়েছে স্কুল থেকে। সেই খবর পেয়েই এ দিন অন্যরাও বই নিতে আসেন। বইয়ের অভাবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। একাধিক অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুল থেকে জানানো হয়েছিল, বই কবে দেওয়া হবে তা এসএমএস করে জানানো হবে। তা না করে সোমবার কয়েকজন অভিভাবককে বই দেওয়া হয়েছে, এই খবর পেয়ে আমরা এসেছি। কেউ কোনও নিয়ম মানেননি।’’ কয়েকজন অভিভাবকের বক্তব্য, ‘‘স্কুলের গেট বন্ধ না রেখে ভিতরে স্কুলের মাঠ পর্যন্ত লম্বা লাইনের ব্যবস্থা রাখতে পারতেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা হলেই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকত।’’

স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, নির্দিষ্ট সুরক্ষাবিধি মেনে বই বিলির জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েও মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বইয়ের পাতা ‘পিডিএফ’ করে, ছবি তুলে ‘গ্রুপ’-এ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানায়, পড়ুয়াদের বাড়ি-বাড়ি বই ‘হোম ডেলিভারি’ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ অবশ্য বলেন, ‘‘স্কুলে বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দা ৩,৩০০ পড়ুয়া রয়েছে। অনেকেরই স্থায়ী ঠিকানা নেই। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি-বাড়ি বই বিলি করার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই।’’ স্কুল থেকে বই বিলি করতে ফের প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy