Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বেশি রেশন চেয়ে বাড়ি ঘিরে ক্ষোভ

কাঁকসায় বিক্ষোভকারীরা এ দিন দাবি করেন, রেশন থেকে মাথাপিছু মাসে দু’কেজি করে চাল ও দু’কেজি করে গম দেওয়া হচ্ছে।

মলানদিঘি পঞ্চায়েতের সদস্যের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

মলানদিঘি পঞ্চায়েতের সদস্যের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা ও আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০০:০৪
Share: Save:

রেশন দোকান থেকে যে পরিমাণ জিনিস দেওয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। আরও বেশি পরিমাণ রেশনের দাবিতে শুক্রবার সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কাঁকসার আড়ায় এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আড়া ও কালীনগরের আদিবাসীদের একাংশ। পাশাপাশি, কাঁকসা, আসানসোল-সহ জেলার নানা প্রান্তে কার্ডহীন উপভোক্তারা শুক্রবারেও রেশন পাননি বলে অভিযোগ।

কাঁকসায় বিক্ষোভকারীরা এ দিন দাবি করেন, রেশন থেকে মাথাপিছু মাসে দু’কেজি করে চাল ও দু’কেজি করে গম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে দীর্ঘ সময় চালানো দুষ্কর বলে দাবি করেন চম্পা মাণ্ডি-সহ বেশ কয়েকজন উপভোক্তা। তাঁরা বলেন, ‘‘বাইরে কাজে যেতে পারছি না। ফলে, হাতে টাকা নেই। সরকারের দেওয়া রেশনই ভরসা।’’

এই পরিস্থিতিতেই এ দিন মলানদিঘি পঞ্চায়েতের ফেলারাম গোস্বামীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ফেলারামবাবু জানান, বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়ে তিন ঘণ্টা পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পাশাপাশি, যাঁদের রেশন কার্ড নেই তাঁরা এ দিনও খাদ্যসামগ্রী পাননি বলে অভিযোগ। রেশন ব্যবস্থা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা জানান, একই পরিবারে সদস্যদের ‘রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ২’ (আরকেএসওয়াই ২, সাদা কার্ড), ‘অন্ত্যোদয় যোজনা’, পিএইচএইচ-সহ নানা প্রকল্পের ‘ডিজিটাল’ রেশন কার্ড রয়েছে। ফলে, একই পরিবারের সকল সদস্য বিনামূল্যে চাল, আটা পাচ্ছেন না। তবে প্রশাসনের কর্তারা জানান, ‘আরকেএসওয়াই ২’ প্রকল্পের রেশন কার্ড ছাড়া, বাকিরা সবাই বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী হবেন।

বিষয়টি নিয়ে বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিযোগ, দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের রেশনকার্ড নেই, তাঁরাও যাতে রেশন পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।’’ তবে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে জেলায় দু’কেজি করে চাল ও একই পরিমাণ গম দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, কাঁকসা, নিয়ামতপুর, বার্নপুরের রহমতনগর, জামুড়িয়া, বারাবনি, রানিগঞ্জ-সহ জেলার নানা প্রান্তে এ দিন অভিযোগ ওঠে, কার্ডহীন উপভোক্তারা কুপন পাননি। মেলেনি রেশনও। অথচ, দিন দশেক আগে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর জানায়, ১০ এপ্রিলের মধ্যে কার্ডহীন গ্রাহকদের হাতে কুপন পৌঁছে দিয়ে রেশন দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু কেন তা হলে এমন অভিযোগ উঠল?

জেলা খাদ্য নিয়মক সুজিত হালদার দাবি করেন, ‘‘কার্ডহীন উপভোক্তারা কুপন পেয়েছেন। শুক্রবার থেকে রেশন পাওয়ার কথা তাঁদের। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’’ ‘পশ্চিম বর্ধমান জেলা রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ জানায়, জেলা জুড়ে কুপন বিলির কাজ প্রায় শেষ। পরের সপ্তাহ থেকে কার্ডহীন উপভোক্তাদের সরকার নির্দেশিত রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে। এ দিকে, বারাবনিতে শুক্রবার থেকে রেশনে আটা ও গম বিলি শুরু করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19 Asansol Kanksa Ration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy