Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করা নিয়ে কাটছে না ধন্দ

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়ম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ‘গুগল প্লে স্টোরে’ অ্যাপটি পাওয়া যাবে না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৪:০৯
Share: Save:

‘লকডাউন’-এর জেরে কাজহারা মানুষজনকে এককালীন অর্থ সাহায্য দিতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রথম দু’দিনই প্রচেষ্টা অ্যাপ ‘ডাউনলোড’ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রাপকদের একাংশ। ১৫ মে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু তথ্যমিত্র কেন্দ্র, সাইবার ক্যাফে বন্ধ থাকায় কী ভাবে অ্যাপ মিলবে, কী ভাবে ফর্ম পূরণ হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়ম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ‘গুগল প্লে স্টোরে’ অ্যাপটি পাওয়া যাবে না। তবে কী ভাবে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে, কারা এই সুবিধা পাবেন তার নির্দেশিকা রয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, যাঁরা সামাজিক সুরক্ষার যোজনার সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক পেনশন পান না, এমনকি, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নন বা একশো দিনের প্রকল্পে জব-কার্ড নেই তাঁরাই এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদেরও পরিবারে একক-রোজগার হতে হবে। এই প্রকল্পে মাথাপিছু এককালীন এক হাজার টাকা পাবেন ওই সব শ্রমিকেরা।

২৭ এপ্রিল থেকে ‘প্রচেষ্টা’র ফর্ম নেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনেই জেলায় ২৭ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। তবে সামাজিk দূরত্ব বজায় রাখায় মুশকিল হওয়ায় হাতেহাতে ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়া বাতিল করে দেয় রাজ্য। ‘অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করার কথা বলা হয়।

এ দিন কালনার আমলাপুকুরের বাসিন্দা, পেশায় দিনমজুর সুরব খাঁ বলেন, ‘‘ভাইয়ের মোবাইল থেকে অনেক চেষ্টা করেও ফর্ম পূরণ করতে পারিনি। গরিব মানুষ টাকাটা পেলে ভাল হত।’’ অসংগঠিত শ্রমিকদের একাংশের দাবি, প্রচেষ্টা প্রকল্পের ‘ওয়েবসাইট’ থেকে ‘অ্যাপ’টি ডাউনলোড করা গেলেও, শেষ পর্যন্ত ফর্ম পূরণ করা যাচ্ছে না। মেমারি শহরের জয়দেব ক্ষেত্রপাল, সামুদ আলমদের কথায়, ‘‘আমাদের ওই ফোন (অ্যান্ড্রয়েড) নেই। পরিচিতদের ফোন থেকে ফর্ম পূরণের চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না।’’ কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরের তাপস মাঝি, সুব্রত মজুমদারেরা বলেন, ‘‘লকডাউনের জন্য দেড় মাস কোনও আয় নেই। এক হাজার টাকার বড় দরকার ছিল। কিন্তু ফর্মই পূরণ করতে পারলাম না।’’ এ দিন ‘স্মার্ট ফোন’ নেই এমন অনেকেও কী ভাবে ফর্ম পূরণ করবেন তা জানতে জেলাশাসকের দফতরে এসেছিলেন।

বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর দাবি, ‘‘এই প্রকল্পে অনেক মানুষ উপকৃত হতেন। কিন্তু প্রচেষ্টা প্রকল্পটিকে নিচু স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা গেল না।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তর পাল্টা দাবি, “প্রকল্পটি যে ভাল, সেই স্বীকৃতি তো বিরোধীরাই দিচ্ছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy