প্রতীকী ছবি
একশো থেকে আড়াইশো পার করল প্রায় ৩৩ দিনে। সেখান থেকে চারশোর কাছাকাছি পৌঁছে গেল প্রায় চার দিনে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় লাফিয়ে বাড়তে থাকা করোনা- সংক্রমণের জেরে চিন্তিত প্রশাসনের কর্তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সংক্রমিত এলাকাগুলিতে চিহ্নিত করে জীবাণুনাশক ছড়ানোর পাশাপাশি, কিছু কিছু এলাকাকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে। নিয়মিত সতর্কতামূলক অভিযানও চালানো হচ্ছে। করোনার বিধিভঙ্গের জন্য আটক, গ্রেফতারও করা হচ্ছে। তার পরেও নাগরিকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, জেলাবাসীর স্বার্থেই ফের কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০ জুন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ১২০ জন। ওই দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র দু’জন। এক মাসের মাথায় অর্থাৎ ২০ জুলাই প্রকাশিত বুলেটিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮১-তে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন জন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধাদকার কিছু অংশ, ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশীলার কিছু অংশ, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যারেট প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া অঞ্চল, ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবডাঙাল ও দুর্গাপুরের সেপকো টাউনশিপ অঞ্চলকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক হওয়ায় আসানসোল পুরসভার রানিগঞ্জের ৮৮ ও ৮৯ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি সাত দিনের জন্য ‘লকডাউন’ করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আরও কিছু কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেগুলি পরবর্তী পর্যায়ে ঘোষণা করা হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার সংক্রমণের হার আসানসোল মহকুমায় বেশি। তাই আসানসোলের জন্য বাড়তি কিছু কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দোকান, বাজার খোলা ও বন্ধের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দোকান, বাজার খোলা থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ও মুদি দোকানকে। শুধু হোম ডেলিভারির জন্য রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকান খোলা থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা শহর ও গ্রামাঞ্চল—দুই এলাকার জন্যই। মহকুমাশাসক (আসানসোল) দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সোমবার থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ছিল। কিন্তু আরও কিছু পদক্ষেপ সংযোজন করে কাল, বুধবার থেকে মহকুমা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের মতো আসানসোলের আরও কিছু অঞ্চলে ‘সাময়িক লকডাউন’ করার চিন্তা ভাবনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy