Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

আক্রান্ত চিকিৎসক ও বিএসএফ কর্মী

ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রানিগঞ্জে প্রথম পঞ্চায়েত এলাকায় তিন জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৫
Share: Save:

রানিগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১। রবিবার রাতে চার জনকে ও সোমবার রাতে দু’জনকে কাঁকসায় ‘কোভিড’ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, বলে জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে যাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে বত্রিশ বছরের এক বিএসএফ কর্মী ও আঠাশ বছরের বক্তারনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক আধিকারিক আছেন।

সিএমওএইচ জানান, রানিগঞ্জের আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীন বক্তারনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সোমবার বন্ধ রেখে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তা চালু করা হবে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ মনোজ শর্মা জানান, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৭ জুলাই ওই আধিকারিক ও রাজস্থান থেকে ফেরা বিএসএফ কর্মীর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া, ৯ জুলাই রানিগঞ্জের ভিন্ন এলাকার দু’জন কাঁকসায় ‘কোভিড’ হাসপাতালে নিজেরাই নমুনা দিয়ে এসেছিলেন। রিপোর্ট আসার পরেই চার জনকেই রবিবার রাতে কাঁকসায় পাঠানো হয়। সোমবার রাতে ভর্তি হাওয়া দু’জন নিজেরাই রবিবার কাঁকসায় গিয়ে পরীক্ষা করান। এ দিন বিকেলের দিকে রিপোর্ট আসে।

ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রানিগঞ্জে প্রথম পঞ্চায়েত এলাকায় তিন জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই মাসের পরের সপ্তাহে পঞ্চায়েত এলাকায় আরও তিন জন আক্রান্তের হদিস মেলে। তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এর পরে ৭ থেকে ১০ জুলাই এর মধ্যে আরও ১৮ জনকে কাঁকসা ‘কোভিড’-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে তিন জন পঞ্চায়েত ও ১৫ জন পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া, এক করোনায় আক্রান্ত মহিলাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভুল ঠিকানা লিখিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

এ দিকে, ১১ জুলাই জেলা প্রশাসন রানিগঞ্জের কুমারবাজারে কুড়িটি ও ‘বার্নস প্লট’-এর তিনটি বাড়িকে কেন্দ্র করে দু’টি ‘গণ্ডিবন্ধ’ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জ়োন) ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ জুলাই ভর্তি হওয়া এক পুরুষ ও মহিলা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (‌সেন্ট্রাল ২) তথাগত পাণ্ডে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচার ও ‘মাস্ক’ বিলি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সরকার নির্দেশিত বিধি না মানলে মামলা রুজুও করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Doctor BSF
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy