প্রতীকী ছবি।
আরও দুই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল পূর্ব বর্ধমানে।
মেমারির পাহাড়হাটি গ্রামের আক্রান্ত মহিলা কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার পুলিশ পাহাড়হাটির ওই বাড়িটি ‘সিল’ করে দিয়েছে। মূল রাস্তা থেকে বাড়ি ঢোকার পথে বাঁশের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। আক্রান্ত মহিলার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা পরিবারের পাঁচ জন ও দু’জন অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গাংপুরের ‘কোভিড-১৯’ (প্রথম ও দ্বিতীয় স্তর) হাসপাতালে ভর্তি করোনো হয়েছে। পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা আরও ৩২ জনকে ‘হোম কোয়রান্টিন’ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে আক্রান্ত মহিলা বাড়িতে না থাকায় এলাকাটিকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ বলে জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেনি।
রাতে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের বাদশাহী রোডের ধারের এক মহিলারও রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। কলকাতার রাজারহাটে থাকতেন তিনি। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সের চালকের সহায়কের কাজ করতেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ১০ তারিখ ফের পরীক্ষা করানো হলেও রিপোর্ট আসার আগেই বাড়ি চলে যান যান। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় জানান, ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘কলকাতার হাসপাতালেই করোনা-পজ়িটিভ ধরা পড়েছে মেমারির মহিলার। আগে দু’বার পরীক্ষা করানো হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।’’ তিনি আরও জানান, বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লি এলাকায় আক্রান্ত নার্সের সংস্পর্শে থাকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে যে ন’জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। প্রণববাবু জানান, নিভৃতবাসে থাকা বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে মেমারি শহরের এক যুবকেরও কলকাতার মুকুন্দপুরের হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। সেখানে পরীক্ষা করানো হলেও, রিপোর্ট আসার আগেই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি মেমারি ফেরার পরে জানা যায়, রিপোর্ট পজ়িটিভ। ফলে এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কেতুগ্রামের ক্ষেত্রেও একই রকমের সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু মেমারি ২ ব্লকের পাহাড়হাটির বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলা কলকাতাতেই ভর্তি থাকায় এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করা হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিডনি, শ্বাসকষ্ট ও রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ে ২৮ মার্চ মেমারির মহিলা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে দু’দিন থাকার পরে, উপসর্গ দেখে ১মে তাঁকে গাংপুরের ‘কোভিড-১৯’ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে ভর্তি করে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। ৩ মে নমুনা পরীক্ষা ‘নেগেটিভ’ আসে। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৫মে ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রবিবার সকালে ওই হাসপাতালে আক্রান্তের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে রিপোর্টে আসে, তিনি করোনা-আক্রান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy