এমনই হাল স্থায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ডটির। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজ্য তথা দেশে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বেহাল পড়ে থাকা আইসোলেশন ওয়ার্ড সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত, অন্য জায়গায় চারটি শয্যা নির্দিষ্ট করে ‘অস্থায়ী আইসোলেশন বিভাগ’ তৈরি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তাঁদের জন্য আলাদা ঘরে শয্যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল। তাই এই মুহূর্তে তা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। মহকুমাশাসক বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বলেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর সংস্কার করে দিলে দু’দিকে ছ’টি করে মোট ১২ শয্যার আইসোলেশন বিভাগ চালু করে ফেলা যাবে। তার আগে কেউ যদি করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন, তাঁদের জন্য অন্যত্র ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসোলেশন ওয়ার্ড কেমন হবে, রোগীদের সেখানে কী ভাবে রাখতে হবে, করোনা মোকাবিলায় কী কী সতর্কতা নেওয়া দরকার, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড এমন জায়গায় হতে হবে যেন সেখান থেকে অন্য রোগীদের সংক্রমণের সম্ভাবনা না থাকে। কলকাতার একাধিক হাসপাতালে অন্য ওয়ার্ডের ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের বেহাল আইসোলেশন বিভাগটি অবশ্য হাসপাতাল চত্বরের অন্য দিকে, ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশে একটি আলাদা ভবনে। হাসপাতালের গেটে দিয়ে ঢুকে সরাসরি সেখানে যাওয়া যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আইসোলেশন বিভাগ সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। তার পরেই পূর্ত দফতর কাজ শুরু করবে।
দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সব হাসপাতালেই আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও কোনও হাসপাতাল প্রথম দিকে যতগুলি শয্যা বরাদ্দ করেছিল, পরে সে সংখ্যা বাড়ায়।
তবে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দুর্গাপুরের সরকারি বা বেসরকারি কোনও হাসপাতালেই কোথাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy