Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coronavirus

রিপোর্ট মিলতে দেরি, বাড়ছে সংক্রমণের ভয়

যদিও জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর দাবি, শীঘ্রই ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র চলে আসবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও নমুনা পরীক্ষা হবে। তখন পরীক্ষার গতি বাড়বে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০১:৫৯
Share: Save:

কোভিড-১৯ পরীক্ষায় লালারসের নমুনা সংগ্রহ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। কিন্তু রিপোর্ট পেতে তিন দিনেরও বেশি লাগছে বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তার আশঙ্কা, নমুনা নেওয়ার পরে, ওই ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। যদি তিনি ‘করোনা পজ়িটিভ’ হন, সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোকেদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। যাতায়াতের পথেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় রয়েছে।

যদিও জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর দাবি, শীঘ্রই ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র চলে আসবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও নমুনা পরীক্ষা হবে। তখন পরীক্ষার গতি বাড়বে।

পূর্ব বর্ধমানে খণ্ডঘোষ, মেমারি, কেতুগ্রাম ও বর্ধমান শহরে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা বহু মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রতিদিন করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সে সব নমুনা পাঠানো হচ্ছে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রিপোর্ট আসতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ সময় লেগেছে বলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

নমুনা নেওয়া হয়েছে এমন মানুষজনের অভিযোগ, লালারস সংগ্রহের পরে, তাঁদের কাছ থেকে ঠিকানা ও ফোন নম্বর নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার নানা জায়গায় বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। দু’-তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জানানোর কথা বলা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ফোনে জানানো হচ্ছে রিপোর্ট। তত দিনে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ ছড়ানোরও ভয় থাকছে।

স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের পাঁচটি জায়গায় নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ‘সিবি-ন্যাট’ যন্ত্রের সাহায্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে এক-একটি নমুনা পরীক্ষা করতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগছে। সে কারণেই নমুনা পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, পরীক্ষার হার বাড়লেও, পরীক্ষাগারের পরিকাঠামো সীমিত। সেই কারণেই ‘সামান্য’ দেরি হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতরও।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের দাবি, “বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘আরটি-পিসিআর’ (রিভার্স ট্রানস্ক্রিপশন পলিমার্স চেন রিঅ্যাকশন) যন্ত্র ট্রায়াল রান দেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন তিনশোর মতো নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। তখন অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus covid 19 lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE