Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Indian Railways

রেলের অনুষ্ঠানে নেই বিধায়কেরা, বিঁধলেন সাংসদ

আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই বিধায়ক আসেননি দাবি করে তাঁর বার্তা, উন্নয়নমূলক কাজে রাজনীতি ভুলে শামিল হওয়া উচিত জনপ্রতিনিধিদের। বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া এলাকার সাফাই নিয়েও ক্ষোভ জানান তিনি।

Program

বর্ধমান স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৩১
Share: Save:

রেলের কর্মসূচিতে তৃণমূল বিধায়কদের গরহাজিরা নিয়ে বিতর্ক বাধল বর্ধমানে। শনিবার বর্ধমান স্টেশনে চলমান সিঁড়ি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সে নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই বিধায়ক আসেননি দাবি করে তাঁর বার্তা, উন্নয়নমূলক কাজে রাজনীতি ভুলে শামিল হওয়া উচিত জনপ্রতিনিধিদের। বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া এলাকার সাফাই নিয়েও ক্ষোভ জানান তিনি। ওই দুই বিধায়কের যদিও দাবি, দলের কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা যাননি।

পূর্ব রেলে সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনে ২.১ কোটি টাকা খরচ করে চলমান সিঁড়ি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া, মোট ছ’টি ‘ভিডিয়ো ওয়াল’ এ দিন স্টেশনে বসানো হয়েছে। সেগুলির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক ও বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের। তবে তাঁরা আসেননি। অনুষ্ঠানে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ অহলুওয়ালিয়া ছাড়াও ছিলেন পূর্ব রেলের ডিআরএম মণীশ জৈন।

মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, স্থানীয় বিধায়কেরা এ দিন অনুষ্ঠানে এলে ফিতে কাটার মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলানো যেত। তাঁর কথায়, ‘‘যখন কোনও এলাকায় জনগণের জন্য কোনও কাজ হয়, সেখানে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের আশা উচিত। ফলকে বিধায়কদের নামও ছিল। কিন্তু ওঁরা হয়তো ব্যস্ত, তাই আসতে পারেননি।’’ তিনি অভিযোগ করেন, কাটোয়া রোড ধরে যখন স্টেশনে ঢুকছিলেন, মনে হচ্ছিল কোনও গলিতে প্রবেশ করেছেন। কারণ, স্টেশন লাগোয়া এলাকায় জঞ্জাল সাফাই হয় না। সাংসদের বক্তব্য, ‘‘খোকনবাবু এলে পুরসভাকে দিয়ে স্টেশনে আসার জায়গা সাফ করিয়ে দিতে বলতাম। এই চত্বর সুন্দর রাখা প্রয়োজন।’’

বর্ধমান স্টেশনের একটি সংগ্রহশালা তৈরির প্রস্তাবও দেন সাংসদ। তাঁর মতে, এই স্টেশন দিয়ে অনেক মণীষী, স্বাধীনতা সংগ্রামী যাওয়া-আসা করেছেন। সে সব ইতিহাস সংরক্ষণ করার আবেদন রেলের কাছে রাখেন তিনি। রেলের রেস্তোরাঁ ফের চালু করা, মন্তেশ্বর লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়েও সওয়াল করেন সাংসদ।

রেলের অনুষ্ঠানে তাঁর আমন্ত্রণ ছিল, তা স্বীকার করে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথের দাবি, দলীয় কর্মসূচি থাকায় তিনি যেতে পারেননি। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ হাতে পাইনি। তা ছাড়া, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলাম।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘হকার উচ্ছেদ হলেও তাঁদের জন্য হকার্স কর্নার বা ছোট বাজার করার কথা চিন্তা করতে পারে রেল।’’ স্টেশনের বাইরে জঞ্জালের অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার এক কর্তার দাবি, সেখানে নিয়মিত সাফাই হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railways TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy