অলোক দাস। —নিজস্ব চিত্র।
অলোক দাস নামে এক নেতাকে দলে ফেরানোর বিষয়ে নাম না করে ‘কিছু ধান্দাবাজার নেতার’ বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন। পাশাপাশি, জামুড়িয়ার অলোককে ‘মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে কোন মন্ত্রী তা ভাঙেননি তিনি।
জেলা ও জামুড়িয়ার রাজনীতিতে অলোক মন্ত্রী মলয় ঘটকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও মলয় ফোন ধরেননি। রবিবার রাত পর্যন্ত জবাব মেলেনি মেসেজেরও। বিষয়টি সামনে আসার পরেই তৃণমূলের ‘কোন্দলের’ বিষয়টি সামনে এল মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভি শিবদাসন সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে মন্তব্য করেছেন, “অলোকের ভাবমূর্তি ভাল নয়। ওঁকে বাদ দিয়েই আমরা পুরভোট, লোকসভা উপনির্বাচনে জামুড়িয়ায় ভাল ফল করেছি। কিন্তু মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অলোককে দলে ফেরাতে তৎপর হয়েছেন কিছু ধান্দাবাজ নেতা। ওঁকে দলে ফেরাতে হলে অন্য যাঁরা বিজেপি থেকে দলে ফিরতে চাইছেন, তাঁদেরও দলে ফেরাতে হবে।”
পাশাপাশি, কেউ দলে ফিরতে চাইলে, তার প্রক্রিয়া কী, তা-ও মনে করে দিয়েছেন শিবদাসন। শিবদাসনের দাবি, অলোকের সময়েই দল ছেড়ে যাওয়া অনেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের জেলা কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। তার পরে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত দিলে দলে ফেরানো হবে।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে অলোক-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা, কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে অলোক দাবি করেছেন, তৃণমূলের নির্দেশে মদনতোড় পঞ্চায়েতে তাদের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া ধর্নামঞ্চেও তিনি ছিলেন অলোকের দাবি। তাঁর সংযোজন: “চলতি বছরের জুলাইয়ে তৃণমূলে ফেরার জন্য দলের জামুড়িয়া ১ ব্লক সভাপতির কাছে লিখিত আর্জি জানিয়েছি। এখনও দল আমাকে ফেরানোর কথা জানায়নি। তবে তৃণমূলেরই কাজ করে যাচ্ছি।”
অলোকের আদি বাড়ি জামুড়িয়ার তালতোড় গ্রামে। সেখানেই কালীপুজোর পরের দিন অলোকের সঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা দলের অন্দরে মলয়-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দেখা যায় বলে দাবি। দু’জনকে কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় বলে দাবি।
নরেন্দ্রনাথের বক্তব্য, “তালতোড়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে অলোকের সঙ্গে দেখা হয়। যে কেউ দলে যোগ দিতে চাইলে ব্লক সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন জানাতে হবে। অলোক ব্লক সভাপতির কাছে আবেদন করেছেন। জেলা থেকে রাজ্য কমিটির কাছে বিষয়টি জানানো হবে। রাজ্য অনুমোদন দিলে তিনি দলে যোগ দিতে পারবেন। ভি শিবদাসনের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।” পাশাপাশি, শিবদাসনের মন্তব্যের প্রসঙ্গে কোন্দল-জল্পনা ছড়ালেও নরেন্দ্রনাথের বক্তব্য, “দলে কোন্দল নেই।”
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের টিপ্পনী, “অলোক দাস সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। কিন্তু ভি শিবদাসন নিজেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।” শিবদাসন অবশ্য সে কথা মানেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy